শুভেন্দু-রাজীবদের আটকাতে উপায় বের করে ফেললেন অরূপ রায়! বিজেপিকে দিলেন হুঁশিয়ারি

চ্যালেঞ্জের রাজনীতিতে বিজেপিকে (bjp) হারানোর উপায় বের করে ফেললেন হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (trinamool congress) চেয়ারম্যান অরূপ রায় (arup roy)। এদিন তিনি নিজের জেলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের (rajib banerjee) মোকাবিলায় বিজেপির প্রতি হুঁশিয়ারি দেন।

শুভেন্দু-রাজীবদের চ্যালেঞ্জ

রবিবার ডুমুরজলায় মেগা সভা করে বিজেপি। সেই সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডায়মিয়া, রথীন চক্রবর্তীর মতো ব্যক্তিরা। সভায় শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, হাওড়ায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল ভেঙে গিয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পদ্ম ফুটবেই। দলের কর্মীরাই তাঁর কাছে সম্পদ বলে মন্তব্য করেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। এই সভা থেকে তিনি নতুন স্লোগানও বেঁধে দেন, বলেন চলুন পাল্টাই।

রবিবার ডুমুরজলার সভা সেরে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ

সভা সেরে ফেরার পথে বাঁকড়াসহ হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। বাঁশ, লাঠি দিয়ে বিজেপি কর্মীদের পেটানো হয় বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। এব্যাপারে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। বাঁকড়ায় তৃণমূলের মিছিল থেকে হামলা চলে বলে অভিযোগ।

বিজেপি কোনও দলই নয়

যদিও এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। তিনি বলেন, বিজেপি কোনও পার্টিই নয়। তিনি দাবি করেন, হাওড়ার কোনও উত্তাপ নেই। শুধুমাত্র বিজেপির লোকরাই ঝামেলা শুরু করছে। তৃণমূলের লোকেরা কিছু করেনি বলে দাবি করেন তিনি।

ফুঁ দিলে উড়ে যাবে

একইসঙ্গে অরূপ রায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তৃণমূলের ছেলেরা ওদের মারতে শুরু করে তাহলে বাংলার বর্ডার ছাড়িয়ে বাইরে চলে যাবে। তাঁদের ছেলেরা ফুঁ দিলে উড়ে যাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন এবারের নির্বাচনে ভয়ঙ্কর খেলা হবে। খেলা হবে স্লোগান নিয়ে তৃণমূলকে মিছিল করতেও দেখা যায় বীরভূমে। যদিও সোমবার নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলে ওরা ভয়ঙ্কর খেলা খেলবে।

বৈশালীর কটাক্ষ

এদিকে অরূপ রায়ের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন, বালির বিধায়ক বৈশালী ডায়মিয়া। তিনি সাংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি আগেই বলেছে, হাওড়ায় দুষ্কৃতীদের পিছনে এক নেতা রয়েছেন। এইকথার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়ে গেল। তিনি আরও বলেছেন, ২২ জানুয়ারি তাঁকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের পরে ২৩ জানুয়ারি হাওড়ার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। তার নেতৃত্বে ছিলেন এক বিদায়ী কাউন্সিলর। এরপর থেকে এলাকার মানুষ তাঁকে ফোন করে বলছেন তৃণমূল যদি এভাবে সন্ত্রাস চালায় , তাহলে তাঁরা কোথায় যাবেন? এসবের পিছনে কে সরাসরি রয়েছেন, এদিনের বক্তব্য থেকেই তা পরিষ্কার বলে মন্তব্য করেছেন বৈশালী ডালমিয়া।

'সেকেন্ড ম্যান করে রেখেছে, সেনাপতি করেনি', দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে হঠাৎ 'বেসুরো' তৃণমূলী দুলাল

More ARUP ROY News