নয়াদিল্লি: এমনিতেই করোনা অতি মহামারী ধাক্কা দিয়েছে অর্থনীতিতে। ফলে রাজকোষের ঘাটতি যেভাবে বাড়ছে তা সামাল দিতে বিলগ্নিকরণের পথের উপর ভরসা রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সোমবার পেশ করা তার বাজেট ভাষণে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
আয়ের পথ খুঁজতে তিনি বাজেটে ব্যাংক বিমা বিলগ্নিকরণের দিকে নজর দিয়েছেন।
নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, আইডিবিআই ব্যাংক ছাড়াও দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং একটি সাধারণ বীমা সংস্থার বেসরকারিকরণ করা হবে। এছাড়া আবার বাজারে এল আই সির শেয়ার ছাড়তে প্রয়োজনী আইন সংশোধনী আনা হবে বলে জানিয়েছেন।এই সংশোধনী সংসদের চলতি অধিবেশনেই আনা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন ব্যাংক বীমা ক্ষেত্রের মতো সংবেদনশীল জায়গায় বেসরকারিকরণ বিষয় তিনি কোন ঢাকঢাক গুড়গুড় করতে চান না। বরং তিনি তার বাজেট ভাষণে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মোদি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সরকারের শেয়ার বিক্রি, বেসরকারিকরণ ইত্যাদির ব্যাপারে পিছপা হবে না।
তাছাড়া নির্মলা জানিয়েছেন, কোনও মন্ত্রক দপ্তর বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সম্পত্তি কোন রকম কাজে না লাগিয়ে ফেলে রাখা যাবে না। সে গুলোকে ব্যবহার করতে হবে অথবা সেগুলিকে ভাড়া বা বিক্রির পথে যেতে হবে।
বাজেটে নির্মলার এই ধরনের ঘোষণার রীতিমতো ইতিবাচক প্রভাব দেখা গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। যার জন্য বাজেট উল্লাস বাজারে প্রতিফলিত হয়েছে। শুধু সোমবার বাজেটের দিন বলে নয় মঙ্গলবার সকালেও শেয়ারবাজারে তেজী ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বাজেটে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণের দিকে জোর দিচ্ছে যাতে সরকারি খরচে জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা হয়। যদিও মাথায় রাখতে হবে চলতি আর্থিক বছরে সরকার বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে ১৭,৯৫৭ কোটি টাকা তুলেছে যেখানে বাজেটে ধরা হয়েছিল ২.১ লক্ষ কোটি টাকা।তবে শেয়ার বাজার এখন বেশ উপরে থাকায় তার সুবিধা নিতে চাইছে কেন্দ্র, ফলে চলতি অর্থবর্ষের শেষে চেষ্টা করছে বেশ কিছু কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সংখ্যালঘু শেয়ার বেচে কিছু অর্থ তুলতে ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.