নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুর আরও তীব্র হতেই আরও বেশি সক্রিয় হল পুলিশ। কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের রুখতে এবার রাস্তায় পেরেক পুঁতে দিয়েছে পুলিশ। বোল্ডার, ব্যারিকেড তৈরি করে দিল্লিমুখী রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দিন যত এগোচ্ছে দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন ততই তীব্র আকার নিচ্ছে। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় আগেই কৃষকদের আন্দোলন ভণ্ডুল করতে বিদ্যুত্‍, জল ও ইন্টারনেট সংযোগ চ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সিঙ্ঘুতে।

এবার কৃষকদের চার ধার থেকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলতে তৎপরতা নিল দিল্লি পুলিশ। রাস্তায় পেরেক ফেলে রেখে কৃষকদের গতিবিধি আটকানোর চেষ্টা হল। দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরী ও গাজিপুর সীমানায় পুলিশের কড়া নজর। এলাকা ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। যে কোনও রকম পরিস্থিতি এবার কড়া হাতে মোকাবিলার চেষ্টায় প্রশাসন।

ক্রমেই কৃষকদের আন্দোলন তীব্র হচ্ছে। কৃষকদের একটাই দাবি তিন কৃষি আইন পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। আর এই দাবিকে সামনে রেখেই আগামী শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে চাক্কা জ্যামের রাস্তায় হাঁটছেন কৃষকেরা। আগামী শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৩ টে অবধি সারা দেশের রাস্তা অবরোধ করতে চলেছেন আন্দোলনরত কৃষকেরা।

নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কিষাণ মোর্চা ৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে চাক্কা জ্যামের কথা ঘোষণা করেছে। শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে অবধি কৃষকেরা রাস্তা আটকাবেন।

লাগাতার কয়েকমাস ধরে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। ক্রমাগত আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়িয়ে চলেছেন কৃষকেরা। ৩০ জানুয়ারি জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে এক দিনব্যাপী অনশন পালন করেছে কৃষকেরা। আবার ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষক সংগঠন ট্র্যাকটর র‍্যালি করেছিল।

সেই র‍্যালি ঘিরে অবশ্য অশান্তি কম হয়নি। এবার কৃষকদের মিছিল রুখতে রাস্তায় পেরেক ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে বিক্ষোভ চলতে থাকা এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলও বাড়ানো হয়েছে।

কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষকদের ১১ দফা বৈঠক হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত রফাসূত্র মেলেনি। কেন্দ্র আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিলেও তাতে রাজি হননি কৃষক নেতারা। কৃষি আইন পুরোপুরি বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। প্রবল শীতেও তাই দিল্লি ঘেরাও করে রেখেছেন লক্ষ-লক্ষ কৃষক।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।