স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সোমবার যা সংসদে পেশ করেছেন, তা আসলে ‘হুক্কাহুয়া বাজেট। ভেকধারী সরকারের ফেকধারী বাজেট’! এই ভাষাতেই মোদী সরকারের বাজেটকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই কেন্দ্রীয় বাজেটকে তুলোধনা করল রাজ্যের বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷
সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, এই বাজেট আসলে শিল্পপতিদের পকেট ভরানোর প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, এবারের বাজেটকে ভোটের ইশতেহার বললে ভুল হয় না।
সেলিমের কথায়, “করোনা পরিস্থিতিতে থেকে উঠে দাঁড়াতে দরকার ছিল মানবিক অভিমুখ। প্রয়োজন ছিল শিল্প-পরিকাঠামোয় অর্থের জোগান। কিন্তু সেসব কিছুই হল না। ” প্রাক্তন সাংসদ আরও বলেন, “ক্ষমতায় আসার আগে মোদী যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সব ভাওতা। একে বাজেট না বলে olx এর বিজ্ঞাপন বললে আরও ভাল বোঝা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ঢালাও বেসরকারিকরণেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, গচ্ছিত টাকা রয়েছে ব্যাঙ্কে আর ব্যাঙ্ক বেসরকারি করে দিচ্ছে মোদী সরকার। “
বিধানসভার সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলায় ভোট তাই এই বাজেট করা হয়েছে৷” তিনি আরও বলেন, এমনভাবে এই বাজেট করা হয়েছে যাতে মানুষের বিপদ আরও বাড়বে৷ সুজন বাজেটকে কোম্পানি রাজ তৈরি করার মতো বাজেট বলেও কটাক্ষ করেন৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মানুষের আয় কমে যাওয়ায় দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যাওয়া মানুষটাকে তুলব কী করে তার কোনও ভাবনা আছে৷ যদি না ভাবনা থাকে৷ তাহলে চাহিদা বাড়বে কী করে তাঁর ভাবনা আছে? এই বাজেটে আয়ের ক্ষেত্রে কোনও প্রকল্প নেই৷”
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা বলেন,” এই বাজেটে আরও বেশি বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ মানুষের জীবন যখন অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে তখন রোজই পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে৷ পেট্রোল ডিজেলে সেস বসানোর ফলে বাকী সব জিনিসের দাম হু হু করে বেড়ে যাবে৷ আচ্ছে দিনের নমুনা দেখিয়ে দিয়েছে এই সরকার৷”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, “রোড ফর ভোট -কে সামনে রেখে সরকার এগিয়েছে। কারণ কিছু কিছু রাজ্যে সামনে এখন ভোট রয়েছে। এই সুর ধরে তিনি বলেন, আশা করা হয়েছিল গরীবদের হাতে মোদী সরকার টাকা দেবে। তিনি বলেন, সরকার বেসরকারীকরণ করে নিজেকে বাঁচাচ্ছে। “
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.