অমিত শাহের নেক নজরে রাজীব! বিজেপির অন্দরে চলছে 'স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা'

দলে যোগ দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ক্যাবিনেট পর্যায়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার দলে ঢোকার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই দিল্লিতে দলের কোর কমিটির বৈঠকে ঠাঁই পেলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এদিন দিল্লি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের। বারুইপুরের সভার পরই তাঁদের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। বারুইপুরের সেই সভাতে শুভেন্দুর পাশে ছিলেন রাজীবও। পরে হঠাৎ জানা যায়, দিল্লি যাওয়ার ডাক পেয়েছেন রাজীবও। এর আগেও অমিত শাহ এসে বলেছিলেন যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন কোনও ভূমিপুত্র। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কী সেই 'ভূমিপুত্রদের' তালিকাতে ঢুকে পড়লেন রাজীবও?

দিল্লিতে বৈঠকে ডাকেন অমিত শাহ

মূলত আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি নেতাদের দিল্লিতে বৈঠকে ডাকেন অমিত শাহ। প্রথমে রাজীবের সেই বৈঠকে যাওয়ার কথা না থাকলেও পরে তাঁকেও ডেকে পাঠান অমিত শাহ। উল্লেখ্য, বাংলার ভোট নিয়ে আলোচনার পর অমিতের বাড়িতে বৈঠকে যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে দলের মধ্যে কোন নেতা বেশি গুরুত্ব পাবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অমিত শাহের সঙ্গে 'বিশেষ' বৈঠক শুভেন্দুর

প্রসঙ্গত, প্রথা ভেঙে কয়েকদিন আগেই অমিত শাহের বাড়িতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রথীন ঘোষ, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়ারা। এদিকে অমিত শাহকে নিজের দাদা আখ্যা দেওয়া শুভেন্দু এখনও অমিত শাহের বাড়িতে যাননি। অথচ দলে যোগ দেওয়ার আগেই সেই বাড়িতে পা রেখেছিলেন রাজীব। এই সব নিয়েই এখন রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের কালো পতাকা

এদিকে এদিন বারুইপুরের সভায় যাওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের কালো পতাকা দেখিয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনার উল্লেখ করে রাজীববাবু বলেন, 'এটাই প্রমাণ করে দেয় তৃণমূল কতটা দেউলিয়া। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এতে বোঝা যায় ওদের রাজনৈতিক শিষ্টাচার আর বাকি নেই। মানুষ পছন্দের দল করতেই পারেন, সভা করতেই পারেন।'

রাজীব চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলকে

বারুইপুরের যোগদান সভায় এদিন রাজীব ছিলেন যথেষ্ট চাঁছাছোলা। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেছেন, 'তিনি বলেন, মানুষের স্বার্থে কাজ করি, তাহলে মানুষের সঙ্গে কেন বেইমানি? তাহলে তো কেন্দ্রের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে মানুষের জন্য যাতে টাকা আনা যায়, সেই ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। কেন্দ্রের টাকা না নিয়ে রাজ্যের কোষাগার ফাঁকা করে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রের সঙ্গে ঝগড়া করে কৃষকদের প্রকল্প, আয়ুষ্মান প্রকল্প আনতে দিল না ওরা।'

বহিরাগত বনাম বাঙালির লড়াই

বিজেপির কেন্দ্রীয় কোনও নেতা রাজ্যে এলেই বহিরাগত বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তার জবাব দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ওরা বাঙালি আর বহিরাগত বলছে। বাংলার মানুষ এটা মেনে নেবে? প্রাদেশিকতার আগুন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারতবাসী তো বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যে বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িকতার থেকেও বড় আগুন আপনি জ্বালাচ্ছেন। যে বাঙালি বাইরে কাজ করতে গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে এই ব্যবহার হলে তো দেশজুড়ে আগুন জ্বলে যাবে।' এদিকে এর আগেও অমিত শাহ এসে বলেছিলেন যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন কোনও ভূমিপুত্র। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কী সেই 'ভূমিপুত্রদের' তালিকাতে ঢুকে পড়লেন রাজীবও?

শোভন ছোটবেলার বন্ধু, খারাপ তো লাগেই! 'ঘর ওয়াপসি'-র দিনে ফিরহাদের গলায় কোন বার্তা?

More AMIT SHAH News