কলকাতা২৪x৭: অংকের বিচারে যতক্ষণ না প্লে-অফের দৌড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছি ততক্ষণ অবধি লড়ে যাব। বেঙ্গালুরু ম্যাচের আগে রবি ফাওলারের এমনই এক বার্তা আশ্বস্ত করেছিল লাল-হলুদ জনতাকে। প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বেও বেঙ্গালুরু এফসি’কে হারিয়ে প্লে-অফে খেলার আশা ফাওলার জাগিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু বাস্তবটা অনেক রুক্ষ। সেটা মঙ্গলবার ব্রিটিশ কোচকে জানান দিল বেঙ্গালুরু এফসি। সুনীল ছেত্রী অ্যান্ড কোম্পানির কাছে হেরে তিলক ময়দানে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল প্লে-অফ খেলার স্বপ্নের সলিলসমাধি।
সুনীলদের বিরুদ্ধে এদিনও প্রথম একাদশে ব্যাপক পরিবর্তন আনলেন ফাওলার। প্রথমবার অ্যারনকে নামালেন আপফ্রন্টে। একইসঙ্গে প্রথমবার একসঙ্গে বেঞ্চে থাকলেন জ্যাক ম্যাঘোমা-পিলকিংটন জুটি। ফাওলার তাঁর একাদশ গঠনে চমক দিলেও ইস্টবেঙ্গলের খেলায় চমক উধাও। কদর্য ফুটবলে খুব সহজেই বেঙ্গালুরু রক্ষণের কাছে এদিন হার মেনে নিল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। গোটা বিষয়টি নিয়ে লাল-হলুদ জনতার মত একইভাবে বিরক্ত প্রাক্তনী রহিম নবি।
বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা জিইয়ে থাকবে লাল-হলুদে, মনে করেছিলেন তিনিও। কিন্তু ম্যাচ শেষে যখন যোগাযোগ করা হল তখন একরাশ হতাশা নবির গলায়। তিনি জানালেন, ‘ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ নিয়ে পর্যালোচনা করার ইচ্ছেটাই আর নেই। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। প্লে-অফের আশা কার্যত শেষ। এখন অন্ততপক্ষে সসম্মানে লিগ শেষ করুক ইস্টবেঙ্গল, এটাই চাওয়ার।’
একইসঙ্গে একাদশে রবি ফাওলারের পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে সরব নবি। স্পষ্ট জানালেন, ‘কোচ ঠিক কী করতে চেয়েছেন আজ স্পষ্ট হল না আমার কাছে। দলটা কিছুতেই সামনে পাস খেলছে না। এত ব্যাক পাস এত স্কোয়্যার পাস চোখে দেখা যায় না। সামনের দিকে এগোচ্ছেই না দলটা। সঙ্গে ডিফেন্সের অবস্থা প্রকট। প্রথম গোলটা দেখে মনে হল নেভিল রক্ষণের বেসিকটাই জানে না। সঙ্গে ফক্স-অঙ্কিতরাও ভুলে ভরা। ক্লেইটন শুট করল আর ফক্স দাঁড়িয়ে দেখল। দ্বিতীয় গোলটার ক্ষেত্রেও রাহুল ভেকে দুরন্ত ওভারল্যাপে এসে একজনকে টেনে এনে বলটা রাখল আর ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স দর্শক।’
একইসঙ্গে হলওয়েকে পুরো ৯০ মিনিট বয়ে বেড়ানোর কোনও যুক্তিও পাচ্ছেন না নবি। সবমিলিয়ে শেষের কয়েকটা ম্যাচে ভাল ফল করে ক্লাবের সম্মানরক্ষা করুক ফুটবলাররা, এটুকুই প্রত্যাশা তাঁর। একইসঙ্গে এদিনের ম্যাচের পর বেঙ্গালুরু এফসি’কে নিয়ে বেশ আশাবাদী শোনাল নবিকে। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচটাকে সুনীলদের ‘কামব্যাক’ ম্যাচ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বেঙ্গালুরুকে নিয়ে এবার ভাবতে হবে বাকিদের। টপ-ফোরের লড়াইয়ে চলে এল দলটা।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.