ডুমুরজলার সভা থেকে শুভেন্দুর বার্তা
ডুমুরজলার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন। ২০১৯-এর নির্বাচনে তৃণমূল যেসব জেলায় ফল ভাল করেছিল তার মধ্যে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তিনি ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূল ফাঁকা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়ায়। এবার ২ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ফাঁকা হয়ে যাবে। সেই হুঁশিয়ারিকে সামনে রেখেই মঙ্গলবার বারুইপুরে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই সভাতেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার।
সভার আগেই দলে ভারী বিজেপি
এদিকে মঙ্গলবার সভার আগে সোমবার সন্ধেয় দলে ভারী হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপি। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলা কমিটির অফিসে সোমবার সন্ধেয় শতাধিক তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী।
বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হল খালে
যদিও এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত বারুইপুর। সকালে দেখা যায় বারুইপুরের পুর এলাকায় সাত ও আটনম্বর ওয়ার্ডে রাস্তার ধারে সাজানো পতাকা পড়ে রয়েছে রাস্তার ধারে। কোনওটি আবার খালের মধ্যে, কোনওটি ঝোঁপের মধ্যে। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবারের সভা উপলক্ষে সোমবার সারাদিন ধরে পতাকা, ফ্লেক্সে সাজানো হয়েছিল বারুইপুর।
তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির
পতাকা ছেঁড়ার ঘটনায় বিজেপির তরফে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার জনসভা ও যোগদান মেলা উপলক্ষে বারুইপুর জুড়ে পতাকা, ফ্লেক্স ও কাটআউট লাগানো হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রাতে এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে সেগুলিকে খালে ও ঝোঁপের মধ্যে ফেলে দেয়।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। আদি আর নব্যের লড়াইয়ে মারামারি আর কার্যালয় দখলের জেরেই এই ঘটনা। বিজেপির সভা সুষ্ঠুভাবে করতে, প্রশাসনের অনুরোধে এলাকায় তৃণমূলের বাইক মিছিল স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।