বেঙ্গালুরু: ছত্রপতি শিবাজিকে কর্ণাটকের মানুষ বলে দাবি করলেন কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ করজোল। রবিবার তিনি দাবি করেছেন যে মারাঠা রাজা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ একজন ‘কন্নাদিগ’। করজোল মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের সীমান্ত বিরোধের কথা বলার সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকেও এক হাত নেন।
এদিন কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ করজোল বলেন, “ঠাকরেই ইতিহাস জানেন না। শিবাজির পূর্বপুরুষ বেলিয়াপ্পা কর্ণাটকের গাদাগ জেলার সোরাতুরের বাসিন্দা ছিলেন। গাদাগে যখন খরা হয় তিনি (বেলিয়াপ্পা) মহারাষ্ট্রে চলে এসেছিলেন। শিবাজি তাঁর পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম ছিলেন।” বেলাগাভিতে একটি সভায় একথা বলেন তিনি।

২৭ জানুয়ারি মুম্বইয়ের একটি বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঠাকরে আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সম্পর্কে বক্তৃতা দেন। শিবসেনা প্রধান বলেন যে কর্ণাটকের মারাঠিভাষী লোকরা কারওয়ার, বেলাগাভি এবং নিপানিতে বেশি। যতদিন না কয়েক দশক পুরানো মামলায় ভারতের শীর্ষ আদালত রায় দেয়, ততদিন এই অঞ্চলগুলিকে ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করা উচিত। ঠাকরে বলেন, “এই মামলাটি যখন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে, তখন কর্ণাটক সরকার বেলগাওমের নাম রেখেছে বেলগাভি। এটিকে দ্বিতীয় রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করে। এখানে আইনসভা ভবন তৈরি করা হয় এবং সেখানে প্রতি বছর একটি আইনসভা অধিবেশন বসে। তাই না? এটা আদালতের অবমাননা নয়?”

এর জবাবে, করজোল ১৯৬৮ সালে মহাজন কমিশনের সেই রিপোর্টের কথা তোলেন যেখানে নিপানি, বেলাগাভি, কারোয়ার এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৮০০ টি গ্রামে কর্ণাটকের দাবিকে সমর্থন করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন যে MVA জোট সরকারের মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ঠাকরে বিষয়টি তুলেছেন। প্রসঙ্গত ২৮ নভেম্বর শিবসেনা, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেস MVA জোট গঠন করেছিল।

কারজোল এদিন আরও বলেন, “ঠাকরে কমপক্ষে এটা জানা উচিত যে শিবাজি যিনি শিবসেনার মূর্তি এবং যে মারাঠার রাজার নাম অনুসারে এই দলের নামকরণ, তিনি মূলত কান্নড় ছিলেন।” এ নিয়ে কর্ণাটকের অপর উপ মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাবাদি করজোলকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন মুম্বইয়ের কর্ণাটকের অংশ হওয়া উচিত এবং সুপ্রিম কোর্ট তার রায় না দেওয়া পর্যন্ত ওই শহরটিকেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা উচিত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।