বেঙ্গালুরু: করোনার মহামারির মাঝে বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক এয়ার শো শুরু হতে চলেছে ৩ ফেব্রুয়ারি। শ্যো-এর নাম রাখা হয়েছে Aero India 2021। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিমান বাহিনীর নতুন বিমান, অস্ত্র এবং টেকনিক আগামী তিন দিনের জন্য বেঙ্গালুরুতে ইয়েলাহানকা এয়ারফোর্স স্টেশনে প্রদর্শিত হবে। এখানে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে পারে এবং সকলে নতুন অস্ত্র প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হবে।
অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২১ প্রকৃতপক্ষে ১৩ তম সংস্করণ। প্রতি দুই বছরে একবার এই শো অনুষ্ঠিত হয়। এই শো চলাকালীন, বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা খাতের অফিসার এবং সংস্থাগুলির পরিচয় ঘটে। একে অপরের প্রযুক্তি দেখে ও বোঝে। তবে নিয়মগুলি এবার একটু কঠিন।
করোনার মহামারির জেরে অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২১ এ প্রচুর বিধিনিষেধ রয়েছে, যা সেখানে উপস্থিত লোকদের পুরোপুরি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক, ফিজিক্যাল দূরত্ব এবং স্যানিটাইজেশন সম্পর্কে খুব কড়া নজরদারি রয়েছে। এছাড়া যারা সেখানে যাচ্ছে, তাঁদেরকে ৭২ ঘন্টা আগে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিতে হবে।
এটি ভারতের প্রথম হাইব্রিড শো। অর্থাৎ, আপনি শারীরিক এবং ভার্চুয়ালি দুই ভাবেই শোতে অংশ নিতে পারেন। অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২১ এ তিনটি বড় জিনিস থাকবে, যার দিকে চোখ রয়েছে বিশ্বের। এ নিয়ে অনেক কৌতূহল রয়েছে। প্রত্যেকেই এই তিনটি জিনিস দেখতে চাইবে। তাদের স্পর্শ করতে চাইবে।
প্রথমটি, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (এইচএল) এবার বিশাল আকারে বিমান ও হেলিকপ্টার প্রদর্শন করবে। অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব, লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার, লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টারও প্রদর্শিত হবে। HAL এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এর কম্ব্যাট এয়ার টিমিং সিস্টেম সিমুলেটর।
আর একটি আকর্ষণ হ’ল আমেরিকা থেকে আসা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বোমারু বিমান বি -১ বি ল্যান্সার। এই বিমানটি শো চলাকালীন উড়বে। এই দূরপাল্লার বোম্বারটি যে কোনও ধরণের গাইডেড এবং প্রচলিত অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এই বিমানের নামে ৫০ টি বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে।
তৃতীয় আকর্ষণ হ’ল আমেরিকান এয়ারফোর্স ব্যান্ড। এর নাম ইউএস এয়ার ফোর্স ব্যান্ড অফ প্যাসিফিক। আমেরিকান দূতাবাস এই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারের পরিকল্পনা করেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.