নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাস সংক্রান্ত আরও জানতে ও রোগের গভীরে পৌঁছতে একাধিক ফুসফুসের কোষকে পর্যালোচনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। কয়েক মাস ধরে গবেষণার পরে, বিজ্ঞানীরা ভাইরাল সংক্রমণের শুরুতে এই কোষগুলির অভ্যন্তরে আণবিক ক্রিয়াকলাপগুলি বিশ্লেষণ করেছেন। তারপর তাঁরা এ নিয়ে সিদ্ধান্তে এসেছেন।

বোস্টন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সহ অনেকে মার্কিন ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) দ্বারা অনুমোদিত প্রায় ১৮টি ওষুধ আবিষ্কার করেছেন। এই ড্রাগগুলি কোনও ব্যক্তি করোনায় সংক্রামিত হওয়ার পর এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার সম্ভাবনা নতুন করে তৈরি করতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে এর মধ্যে পাঁচটি ওষুধ মানুষের ফুসফুসের কোষগুলিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে ৯০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস করতে পারে। এই গবেষণা মলিউকুলার সেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে কয়েক হাজার ফুসফুসের কোষকে SARS-CoV-2 ভাইরাসে সংক্রামিত করেছিলেন। সংক্রমণের পর কোষগুলিতে কী কী ঘটে তা বোঝার জন্য এই গবেষণা করেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কোষগুলি আমাদের দেহের মধ্যস্থ জীবিত, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সম্পর্কিত কোষগুলির মতো নয়। কিন্তু তার কাছাকাছি।

বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় (বিইউ) এর অধ্যয়ন সহ-লেখক এবং ভাইরোলজিস্ট এলকে মুহলবার্গার বলেছেন, এর অস্বাভাবিকত্ব হল ভাইরাসটি ফুসফুসের কোষগুলিকে সংক্রমণের ঠিক এক ঘণ্টা পরে সেগুলি দেখা হয়েছে। সংক্রমণের সময় ভাইরাসটি এত তাড়াতাড়ি কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছিল যে তা দেখে বিজ্ঞানীরাও শিহরিত হয়েছিলেন। গবেষকদের মতে, “ভাইরাস ফুসফুসের কোষগুলির যেন পাইকারি হারে পুনর্নির্মাণ করছিল।” বিইউর গবেষণার অপর সহ-লেখক অ্যান্ড্রু এমিলি বলেছিলেন, “ভাইরাসটি যে হারে কোষগুলিকে সংক্রামিত করছিল তা রীতিমতো অবাক করে দেয়।”

ভাইরাসগুলি যেহেতু নিজেদের প্রতিলিপি করতে পারে না, তাই তারা তার জিনগত উপাদানগুলির অনুলিপি করতে হোস্ট সেল যন্ত্রটিকে ব্যবহার করে। সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে SARS-Cov-2 কোষের বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলিকে পুরোপুরি পরিবর্তন করে। সংক্রমণের পরে তিন থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে কোষের পারমাণবিক ঝিল্লিকে ক্ষতি করে এই ভাইরাস। মারাত্মক ইবোলা ভাইরাসে সংক্রামিত কোষগুলি সংক্রমণের এই প্রাথমিক সময়ের বিন্দুতে কোনও সুস্পষ্ট কাঠামোগত পরিবর্তন দেখায় না। এমনকি সংক্রমণের শেষেও পারমাণবিক ঝিল্লি থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে কোষের পারমাণবিক ঝিল্লি নিউক্লিয়াসের সাধারণ সেলুলার ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ফুসফুসের কোষগুলি সাধারণত অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের অপরিহার্য গ্যাস বিনিময়কে বজায় রাখতে ভূমিকা নেয়। গবেষকদের মতে, কোষগুলি সংক্রমণের ফলে মারা যাওয়ার সাথে সাথে জৈবিক ক্রিয়াকলাপকে ছড়িয়ে দেয়। ফলে আরও বেশি কোষের মৃত্যু ঘটে। অবশেষে নিউমোনিয়া, তীব্র শ্বাসকষ্ট এবং ফুসফুস ফেলিওর হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।