মুম্বই: প্রথম টেস্ট শুরুর আগে হাতে সময় একদম নেই। তাই শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নির্দেশিকার পর চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে দর্শক প্রবেশ করানোর ভাবনায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এ নিয়ে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বিসিসিআই আলোচনাও শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। তাই প্রাথমিকভাবে চেন্নাইয়ে প্রথম দু’টি টেস্ট দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ার কথা থাকলেও নয়া নির্দেশিকার পর দ্বিতীয় টেস্টে অন্তত ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, শনিবারই কেন্দ্রের যুবকল্যাণ এবং ক্রীড়ামন্ত্রক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে আউটডোর স্পোর্টস ইভেন্টের ক্ষেত্রে স্টেডিয়ামে ১০০ শতাংশ দর্শক প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর এই নির্দেশিকার পরেই গোটা চালচিত্রে পটপরিবর্তন। তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিক পিটিআই’কে জানিয়েছেন, ‘৫ ফেব্রুয়রি থেকে শুরু হতে চলা প্রথম টেস্টে স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশ করানোর জন্য হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই। কারণ শনিবারই মাত্র আমরা সরকারি নির্দেশিকা পেয়েছি। স্বল্প সময়ের নোটিশে স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশ করানোর আয়োজন সহজ ব্যাপার নয়।
তবে হ্যাঁ, নয়া গাইডলাইনে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় টেস্টে স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের সমস্ত সম্ভাবনা রয়েছে।’ সোমবার থেকে বোর্ডের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা-ব্যক্তিদের এ নিয়ে কয়েকদফা আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছে, ‘মোতেরায় যে দর্শক সমাগমেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেটা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। কিন্তু আমরা সরকারের যে নয়া নির্দেশিকা পেয়েছি তাতে দ্বিতীয় টেস্ট নিয়েও পুনরায় ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।’ সূত্রের খবর দর্শক সমাগমে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের থেকে পরামর্শও চাইতে পারে বিসিসিআই।
কেন্দ্রের ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ মন্ত্রকের এসওপি’র সাম্প্রতিকতম সংশোধনীতে গ্যালারিতে ১০০ শতাংশ দর্শক নিয়ে আউটডোর স্পোর্টস ইভেন্ট আয়োজন করার কথা ঘোষণা হয়েছে শনিবার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। তবে সমস্তপ্রকার কোভিড বিধি মেনে তবেই গ্যালারিতে দর্শকের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আয়োজকদের। সেক্ষেত্রে এসওপি’র নয়া সংশোধনীতে বলে হয়েছে, বড় ইভেন্টের ক্ষেত্রে প্রবেশ পথ এবং বাহির পথে যাতে মানুষের জটলা না হয়, তাই সিসিটিভি মনিটরিং আবশ্যক।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.