নয়াদিল্লি: সোমবার বাজেটের দিনে লগ্নিকারীদের সম্পদ বেড়ে গেল ৬.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা। সোমবার সকাল থেকেই শেয়ারবাজারের সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। আর বাজেট পেশ করা শেষ হতেই যেন লাগামছাড়া দৌড়াতে লাগলো শেয়ারবাজারের সূচক। এদিন বিএসই সেনসেক্স ২৩১৪.৮৪ পয়েন্ট বা ৫০ শতাংশ বেড়ে দিনের শেষে অবস্থান করছে ৪৮,৬০০.৬১ পয়েন্টে। এদিন অবশ্য একসময় সেনসেক্স ২৪,৭৮.৬৩ পয়েন্ট উঠে পৌঁছে গিয়েছিল ৪৮,৭৬৪.৪০ পয়েন্টে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে ১৯৯৭ সালের পর সবথেকে ভালো বাজারের উত্থান হয়েছে। এতটা ইতিবাচক সেন্টিমেন্ট বাজারে বিরাজ করায় বিএসইতে নথিভূক্ত শেয়ারের বাজার মূল্য ৬,৩৪,৬০৯.৬৭ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৯২,৪৬,৭১৩.৭০ কোটি টাকা।

বাজেটের দিনে ইতিহাসে শেয়ার সূচকের এত বড় লাফ আগে কখনও হয়নি। সেনসেক্সের পাশাপাশি নিফটিও লাফিয়ে বেড়েছে। বাজার বন্ধের সময় নিফটি ৬৪৬. ৬০ পয়েন্ট বা ৪.৭৪ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ১৪২৮১.২০ পয়েন্টে। তবে এদিন একসময় নিফটি ১৪,৩৩৬.৩৫ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছিল।

আজ সকাল থেকেই  বাজার বেশ তেজি ছিল। বাজার খুলতেই শেয়ার সূচক উপরে উঠতে দেখা যায়। সকালে বাজার খোলার কিছুক্ষণের নধ্যেই সেনসেক্স ৪০৭ পয়েন্ট বা .৮৮ শতাংশ উপরে উঠে পৌঁছে যায় ৪৬,৬৯২ পয়েন্টে। অন্যদিকে নিফটি ১২৪ পয়েন্ট বা .৯১ শতাংশ উপরে উঠে পৌঁছয় ১৩,৭৫৯ পয়েন্টে।

তবে সাধারণ বাজেট পেশ হওয়ার আগের ছয়টি লেনদেন দিনে শেয়ার সূচক নামতে দেখা গিয়েছিল। এর আগের লেনদেনের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সেনসেক্স দিনের শেষে ৫৮৮.৫৯ বা১.২৬ শতাংশের নিচে নেমে অবস্থান করছে ৪৬,২৮৫.৭৭ পয়েন্ট। এরফলে গত ছটি লেনদেনের দিনে মোট সেনসেক্স নেমেছিল ৩৫০৬.৩৫ পয়েন্ট বা ৭.০৪ নেমেছে। ওইদিন বিএসই সূচক ১২৬৩.২০ পয়েন্ট ওঠানামা হয়েছে। সেনসেক্স তালিকায় থাকা ২৬টি শেয়ারের দাম সেদিন কমে গিয়েছিল। পাশাপাশি একই রকম ভাবে গত শুক্রবার এনএসই নিফটি ১৮২.৯৫ পয়েন্ট অথবা বা ১.৩২ শতাংশ নেমে গিয়ে অবস্থান করছে ১৩,৬৩৪.৬০ পয়েন্ট । গত ছয় দিনে নিফটি নেমে গিয়েছিল ১০১০.১০ পয়েন্ট বা ৬.৮৯ শতাংশ।

এদিন বাজেট ভাষণের ঠিক আগে সকাল এগারোটা নাগাদ সেনসেক্স ৪৮৬ পয়েন্ট উপরে অবস্থান করছিল। এরপর বাজেট বক্তৃতা শুরু হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে লগ্নিকারীদের সম্পদ বৃদ্ধি পায় ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা। আর এক ঘন্টার মধ্যে লগ্নিকারীরা ধনী হয়েছেন ২.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা যার ফলে বিএসইতে থাকা শেয়ারের বাজার মূল্য ১৮৮.৫৭ লক্ষ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়।

 

 

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।