৬ ফেব্রুয়ারি রথযাত্রার সূচনায় জেপি নাড্ডা
বিজেপির কর্মসূচি অনুযায়ী, রাজ্যে রথযাত্রা শুরু হতে চলেছে ৬ ফেব্রুয়ারি। পাঁচটি সাংগঠনিক জোনের প্রথম রথটি বের হবে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে। এই রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নবদ্বীপে ওইদিন জেপি নাড্ডার সভার জন্য মাঠ দেখার কাজও শেষ হয়েছে। নবদ্বীপের চটির মাউ এব্যাপারে বিজেপির প্রথম পছন্দ বলে জানা গিয়েছে। নবদ্বীপ জোন থেকে বেরনো রথেন নাম দেওয়া হয়েছে চৈতন্যচেতনা রথ। জনসভা করার রথযাত্রার সূচনা হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরবর্তী ১৮ দিন এই রথ বিভিন্ন জায়গায় যাবে। নদিয়া থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে নদিয়া দক্ষিণ, বনগা-বসিরহাট- বারাসত হয়ে তা ব্যারাকপুরে পৌঁছবে। ব্যারাকপুরে গঙ্গার ধারে এই রথযাত্রা সমাপ্ত হওয়ার কথা।
৮ ফেব্রুয়ারি রথযাত্রার সূচনায় অমিত শাহ
৮ জানুয়ারি রাজ্যের দুইপ্রান্ত কোচবিহার এবং গঙ্গাসাগর থেকে দুটি রথ বেরোবে। দুটি রথযাত্রার সূচনা করার কথা রয়েছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ৮ জানুয়ারি কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া রথযাত্রা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর হয়ে মালদহে গিয়ে শেষ হবে।
অন্যদিকে ওই একইদিনে গঙ্গাসাগর থেকে শুরু হওয়া রথযাত্রা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সবকটি বিধানসভা কেন্দ্র পরিদর্শনের পরে তা শেষ হবে কলকাতায়।
৯ ফেব্রুয়ারি বেরোবে আরও দুটি রথ
বিজেপির দেওয়া সূচি অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি রথ বেরোবে। একটি বেরোবে রাঢবঙ্গ জোনে। সেটি ঝাড়গ্রাম থেকে শুরু হয়ে বেলুড়ে গিয়ে শেষ হবে। অপরটি বীরভূমের তারাপীঠ থেকে শুরু হয়ে পুরুলিয়ায় গিয়ে শেষ হবে। পাঁচটি রথযাত্রার পুরো যাত্রাপথ জানিয়ে এদিন রাজ্য বিজেপির তরফে অনুমতি নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবকে।
পরিবর্তন যাত্রার শেষে ব্রিগেডে সভা
বিজেপি সূত্রে খবর, রথযাত্রার শেষে ব্রিগেডে জনসভার কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। সেই সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী আসবেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। প্রত্যেকটি রথ রাস্তায় থাকবে ২০ থেকে ২২ দিন করে। ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠকও হয়ে গিয়েছে।
অনুমতি পাওয়া নিয়ে সংশয়
বিজেপি রথযাত্রার সূচি তৈরি করে ফেললেও, এর অনুমতি পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কেননা সরকার পক্ষের পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও এই রথযাত্রায় অনুমতি না দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও রথযাত্রার অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই সময় তার অনুমতি দেওয়া হয়নি। জায়গায়, জায়গায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কথা গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।