পানাজি: গত ৯ জানুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধেই আইএসএলের দ্বিতীয় জয়টি এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের। এরপর গত চারটি ম্যাচে জয় অধরা লাল-হলুদ ব্রিগেডের। তাই জয়ের সরণিতে ফিরতে মঙ্গলবার সুনীলদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামার আগে প্রথম পর্বের ফলাফলই অনুপ্রেরণা রবি ফাওলারের ইস্টবেঙ্গলের কাছে। প্রথম পর্বে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সেই ম্যাচে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন জার্মান মিডফিল্ডার মাত্তি স্টেইনম্যান। কার্ড সমস্যায় রবি ফাওলার বেঞ্চে না থাকায় ডাগআউট থেকে দায়িত্ব সামলেছিলেন সহকারী টনি গ্রান্ট।
তবে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে মাঠে নামার আগেরদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন রবি ফাওলারই। আগামীকালের ম্যাচ নিয়ে ব্রিটিশ কোচ জানালেন নানা কথা। দক্ষিণের দলটি আট ম্যাচে জয়হীন থাকলেও প্রতিপক্ষের প্রতি ফাওলারের গলা থেকে ঝরে পড়ল পূর্ণ শ্রদ্ধা। লিভারপুল লেজেন্ড জানালেন, ‘বেঙ্গালুরু একটি টালমাটাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ঠিকই। এরকম অবস্থায় একসময় আমরাও ছিলাম। তবে ওদের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ দারুণ কোচিং করাচ্ছেন। আমার মনে হচ্ছে আগামীকাল একটা উপভোগ্য ম্যাচ হতে যাচ্ছে। এখন লিগে যে কোনও দল যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে।’
একইসঙ্গে গত দু’ম্যাচে মুম্বই এবং গোয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েও জয় আসেনি। জুয়ান ফেরান্দো প্রশিক্ষণাধীন দলের বিরুদ্ধে তো গত ম্যাচে গোল বাদে সবকিছুই করেছেন ব্রাইট সহ অন্যান্যরা। ফক্স একটি গোল করে সমতা ফেরালেও ইস্টবেঙ্গলের নামের পাশে তিন-চার গোল হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। তাই দলের খারাপ কনভার্সন রেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফাওলার জানান, ‘একদমই, আমরা প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু ফলাফল দেখে অনেকেই বলছেন আমাদের একজন উপযুক্ত সেন্টার ফরোয়ার্ড দরকার। ফুটবলাররা কখনোই গোল মিস করতে মাঠে নামে না। এটুকু বলতে পারি আমাদের ইতিবাচক অনেক কিছু নেওয়ার আছে ম্যাচগুলো থেকে। আমি খুশি আমার দলের ফুটবলারদের জন্য। আমরা ধারাবাহিকভাবে সুযোগ তৈরি করে যেতে চাই।’
একইসঙ্গে যতক্ষণ না অংকের বিচারে প্লে-অফের আশা শেষ হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ অবধি হাল ছাড়তে নারাজ রবি ফাওলার। তবে একটা একটা করে ম্যাচ ভাবতেই বেশি পছন্দ করছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। উল্লেখ্য, আগামীকালের ম্যাচে জয় লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গলকে কয়েকধাপ উপরে তুলে আনবে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ফের জয় ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লাল-হলুদকে বসিয়ে দেবে কেরালা ব্লাস্টার্স, চেন্নাইয়িন এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি’র আগে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.