পানাজি: এর আগে শেষ জয়টা এসেছিল গত ২৮ ডিসেম্বর। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচে জয় না আসায় ক্রমেই প্লে-অফের স্বপ্ন ফিকে হচ্ছিল জামশেদপুর এফসির। লড়াইয়ে ফিরতে সোমবার ওডিশা ম্যাচে আবশ্যক ছিল জয়। অবশেষে পাঁচ ম্যাচ পর এল কাঙ্খিত জয়। প্রথমার্ধে করা মোবাসির রহমানের একমাত্র গোলে ওডিশাকে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে দারুণভাবে টিকে রইল জামশেদপুর।

এটিকে মোহনবাগান থেকে সোয়াপ ডিলে দলে যোগ দেওয়া ব্র্যাড ইনমানকে প্রথম একাদশে রেখেই এদিন রেড মাইনার্সদের বিরুদ্ধে দল সাজিয়েছিলেন ওডিশা কোচ স্টুয়ার্ট বাক্সটার। গত বেঙ্গালুরু ম্যাচের একাদশে এদিন আরও একটি পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি। অন্যদিকে চোট সারিয়ে জামশেদপুর একাদশে ঢোকেন ডিফেন্ডার পিটার হার্টলে। আইতর মনরয়ের পরিবর্তে আসেন মোবাসির রহমান। দুরন্ত ফর্মে থাকা ওডিশা গোলরক্ষক অর্শদীপ শুরুতেই বক্সের ভিতর সেইমিনলেন ডোঙ্গেলের একটি জোরালো ভলি প্রতিহত করেন।

এরপর একইভাবে নেরিজাস ভালস্কিসের একটি শটও রক্ষা পায় অর্শদীপের দস্তানায়। উলটোদিকে ২৪ মিনিটে দুরন্ত টিমগেমে গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ওডিশা। পল রাম্ফাংজাউভার সাজানো থ্রু ধরে বল ধরে বক্সে প্রবেশ করেন জেরি। গোলের সামনে জেরির পা থেকে বল পেয়েও বলের দখল হারান মাইকেল ওনয়ু। কর্নারের বিনিময়ে আক্রমণ প্রতিহত করেন এক জামশেদপুর ডিফেন্ডার। আক্রমণে মাঝেমধ্যে ফনা তুলছিল ওডিশাও।

যদিও ৪০ মিনিটে ম্যাচে ওডিশা ডিফেন্সের লকগেট ভেঙে গোল তুলে নেয় জামশেদপুর। বক্সে নেরিজাস ভালস্কিসের জন্য একটি পিনপয়েন্ট ক্রস তলেন মোবাসির রহমান। লিথুয়ানিয়ান স্ট্রাইকার বলে পা ছোঁয়াতে না পারলেও বক্সে তাঁর মুভমেন্ট বিভ্রান্ত করে ওডিশা গোলরক্ষক অর্শদীপকে। আর সে কারণেই মোবাসিরের ক্রস পরিণত হয়ে যায় গোলে। এগিয়ে যায় জামশেদপুর। দ্বিতীয়ার্ধেও ডোঙ্গেলের নেতৃত্বে ওডিশা রক্ষণে বিপদের সৃষ্টি করতে থাকে জামশেদপুর। তবে একের পর এক সেভে দলকে লড়াইয়ে রাখেন ওডিশা গোলরক্ষক। উলটোদিকে ৬২ মিনিটে ফাইনাল থার্ডে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া ওডিশার একটি প্রয়াস জামশেদপুর গোলরক্ষক রেহনেশের দস্তানায় রক্ষা পায়।

সংযুক্তি সময়ে ফারুখ চৌধুরির শট পোস্টে লেগে না ফিরলে ব্যবধান বাড়াতেই পারত জামশেদপুর। কিন্তু সেটা না হওয়ায় প্রথমার্ধের একমাত্র গোলেই বছরের প্রথম তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে জামশেদপুর। এই জয়ের ফলে ১৫ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ছ’য়ে উঠে এল ওয়েন কয়েলের দল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।