ঠেলায় গাছে উঠেছে 'বেড়াল'! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় প্রথম সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। সেই সভা থেকে স্বাভাবিকভাবেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করেন। এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় (mukul roy)।

মোদীর বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত

এদিনের বাজেট ঘোষণায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, ৭৫ বছর বেশি বয়সী পেনশনভোগীদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে না। কালনার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে রাস্তা তৈরিতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ঘোষণার কথাও উল্লেখ করেন এদিনের সভায়। কেন্দ্রের বাজেটকে জনমুখী বাজেট বলেও দাবি করেন তিনি।

বাজারে আলুর দাম বেশি কেন

রাজ্যে যেসব জায়গায় আলুর চাষ হয়, সেইসব জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হল পূর্ব বর্ধমানের কালনাও। শুভেন্দু অধিকারী এদিন সভায় বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে আলু চাষী নিশ্চয়ই আছেন। তাঁদের উদ্দেশে বলেন, চিন্তু করে দেখুন গতবার ৫ টাকা কেজি করে আপনারা আলু বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু বছরের শেষে তা ৪০ টাকা ছাড়িয়ে গেল। কারা পেল সেই টাকা। এরপরেই তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু অধিকারী সাড়ে নয় বছর সরকারের থাকার পর দুয়ারে সরকার কর্মসূচি কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন।

ঠেলায় গাছে উঠেছে 'বেড়াল'

পিএম কিষাণ প্রকল্পে সারা ভারত অংশ নিলেও অংশ নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ। পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি লিখে টাকা রাজ্যের হাতে দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। এরপর রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার কথা জানায়। এব্যাপারে অমিত শাহ ইতিমধ্যেই বলেছেন, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার কথা বলে কৃষকদের সংখ্যা জানিয়েছে। কিন্তু কৃষ্কদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়নি। তাই বাংলাকে টাকা দেওয়া যাবে না। এই প্রকল্পে কেন্দ্র সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায়। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সারা দেশের কৃষকরা তিন বছরে ৬ হাজার করে ১৮ হাজার টাকা পেয়েছে। কিন্তু বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, আগের দুবাবের টাকা তৃণমূলের কাছ উসুল করে নেওয়া হবে। পিএম কিষাণ প্রকল্পে রাজ্য সরকারের যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ঠেলায় গাছে উঠেছে বেড়াল।

মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে যোগদান অনেকের

এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। এদিনের সভায় তিনিও ভাষণ দেন। পাশাপাশ এদিনের সভায় তৃণমূল-সহ অন্য রাজনৈতিক দল থেকে বহু নেতা-কর্মী এদিন বিজেপিতে যোগ দেন।

রাজীবের যোগদান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না খোদ মমতাও, এবার কীসের বার্তা

More SUVENDU ADHIKARI News