নয়াদিল্লি: অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ কিন্তু এবারের বাজেট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, ‘এবারের বাজেট করোনা অতিমারীর জেরে তলানিতে চলে যাওয়া আর্থিক ব্যবস্থাকে ফের চাঙ্গা করতে পারে’। নতুন ফ্ল্যাট কিনলে দেড়লক্ষ টাকা আয় করে ছাড় মিলবে বলে এদিন বাজেট ঘোষণার সময় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনার থাবা। ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছে ভারতেও। তছনছ হয়ে গিয়েছে গোটা দেশের অর্থ-ব্যবস্থা। লাখ-লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সংসার খরচ চালাতে অনেকেই আয়ের ভিন্ন পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এই আবহেই এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট মোদী সরকারের কাছে ছিল রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের বাজেটের মূল ফোকাস ছিল দেশের ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনরুজ্জীবন। সেই কাজে বেশ খানিকটা সফল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এমনই মনে করছেন কেউ-কেউ।
নতুন ফ্ল্যাচ কিনলে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে ছাড় মিলবে বলে এদিন ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। গত বছর দেশজুড়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষেত্রের সঙ্গে কোটি-কোটি মানুষের রুজি-রোজগার জুড়ে রয়েছে।
বিষয়টির গুরুত্ব বিচার করেই আগেভাগে পরিকল্পনা সেরে রেখেছিলেন নির্মলা সীতামরণ। আজ বাজেটে পেশের সময় যার প্রতিফলন দেখা মিলল। নয়া ফ্ল্যাট কেনার প্রতি মানুষের উৎসাহ বাড়াতে আয় করে ছাড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও ৭৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য সুদ করমুক্ত করা হয়েছে। ৭৫ ও তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য সুদের উপর সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য জিরো কুপোন বন্ড যাতে বাজারে আসে, তার ব্যবস্থা করেছে এবারের বাজেট। এনআরআইদের জন্য ডাবল ট্যাক্সেশন যাতে না হয় তার জন্য নিয়মেরও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ট্যাক্স assesment ৬ বছরের মধ্যে রিওপেন করা যেত, এখন ৩ বছরের মধ্যে রিওপেন করতে হবে। রাজ্যগুলিকেও সুবিধা দিয়েছে এবারের বাজেট। ৪ শতাংশ ধার করার অনুমতি প্রতিটি রাজ্যকে। চা শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তপশিলি জাতিদের পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ বাড়ানো হয়েছে। যার জেরে দেশের ৪ কোটি পড়ুয়া উপকৃত হবেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘ওয়ান নেশন ওয়ারশ কার্ড’ প্রকল্প চালুর ঘোষণা বাজেটে। পরিবার থেকে দূরে থাকলেও সুবিধা মিলবে বলে জানানো হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.