আরও বড় ভাঙনের ইঙ্গিত
আজ কলকাতার হেস্টিংসে দলীয় কার্যালয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর-সহ বিভিন্ন জায়গার বুথকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সভায় গিয়ে অনেক চেনা মুখ দেখছি। কংগ্রেসে থাকার সময় থেকে শুরু করে ৩৩-৩৪ বছর ধরে ওই জেলার বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। অনেকে দেখছি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিপুল সংখ্যক মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। আমাকে বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীকেও বলেছেন। ওই দলে সম্মান পাচ্ছেন না যাঁরা, তাঁদের সসম্মানে বিজেপিতে কীভাবে যোগদান করানো যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এটা একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। ফলে তাঁরা যাতে সসম্মানে বিজেপিতে যোগদান করে কাজ করতে পারেন তা সুনিশ্চিত করা হবে। কোনও নাম বলছি না, সকলেই দেখতে পাবেন কত সংখ্যায় মানুষ বিজেপিতে যোগ দেবেন।
পুরানো দিনের কর্মীরা বিচ্ছিন্ন
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেসব কর্মীরা বড় ভূমিকা নিয়ে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, মানুষের সমর্থন আদায় করেছেন, জীবনপণ সংগ্রাম করেছেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আত্মীয়স্বজনকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সেইসব কর্মীদের দল থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। সম্মান দেওয়া হয় না। সেইসব কর্মীরা আজ আর দলবদল করছেন পদের জন্য বা বিধানসভা ও পৌরসভার টিকিট পেতে নয়, বরং মর্যাদার জন্য তাঁরা বিজেপির শরিক হতে চাইছেন। তাঁরা যেখানে রাজনীতি শুরু করেছেন, সেখানেই তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলও মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে কটাক্ষ
তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে কটাক্ষ করে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি শাস্তি দিতে পারে বলা হচ্ছে। শৃঙ্খলা হলো একটা দলের সিস্টেম। সেই সিস্টেম ভেঙেছে ওই দলের সুপ্রিম লিডারশিপই। স্বেচ্ছাচারিতার জন্য শৃঙ্খলাজনিত কোনও পদক্ষেপ করতে হলে তা হওয়া উচিৎ সুপ্রিম লিডারশিপের বিরুদ্ধেই, যাঁরা দলকে পরিচালনা করেন। আর তৃণমূল ব্যবস্থা নিতে না পারলেও কিছু যায় আসে না। মানুষ তা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন।
দলে একাই থাকবেন মমতা
অমিত শাহ গতকাল ভার্চুয়াল ভাষণে বলেছিলেন, শেষে দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই দলে থাকবেন। সেই কথা মনে করিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, সঠিক কথাই বলেছেন অমিত শাহ। তৃণমূলের ব্যবহারে রুষ্ট হয়ে এত কর্মী-সমর্থক-নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন যে শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই হয়ে যাবেন।