নয়াদিল্লি: আগামী বছর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে সিপিএমের ২৩ কমক পার্টি কংগ্রেস হবে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দুদিনের বৈঠকের পর রবিবার এমনটাই জানানো হয়েছে। এই বছরের এপ্রিল মাসে পার্টি কংগ্রেস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একদিকে মহামারী লকডাউন ইত্যাদি অন্যদিকে আবার ওই সময় কেরল পশ্চিমবঙ্গ তামিলনাড়ু অসমে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এইসব কারণে তা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে কৃষক আন্দোলনে সংহতি আরো শক্তিশালী করার ডাক দিয়েছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার কৃষক আন্দোলনের স্বপক্ষে প্রচারের সময় লক্ষ্য হবে বিজেপি এবং আরএসএস যেসব প্রচার করছে তা প্রতিরোধ করা। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ ১৫ দিন গোটা দেশে এই প্রচার কর্মসূচী চালানো হবে বলে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তাছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোটাই প্রধান লক্ষ্য। এর মাধ্যমেই কেরলে বাম সরকারকে নির্বাচিত করার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে বাম ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হবে ‌। এর পাশাপাশি তামিলনাড়ুতে বিজেপি-এডিএমকে জোটকে হারানো এবং অসম বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রভাব বৃদ্ধি করাটাই এবারের লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, পরিসংখ্যানের কারিকুরি দিয়ে মহামারী এবং অর্থনৈতিক সংকট থেকে জনতাকে রক্ষা পড়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের আশঙ্কা আসন্ন বাজেটে সরকারি ব্যয় এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি প্রয়োজন হলেও এই সরকার সে পথে হাঁটবে না।

প্রসঙ্গত, সোমবার বাজেট পেশ হবে এবং তার আগে শুক্রবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন লোকসভায় পেশ করেন অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০-২১। এই সমীক্ষার একটা তাৎপর্য রয়েছে যেহেতু গত বছরটা করোনা মহামারী কাটিয়ে এবার একটু ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। এই সমীক্ষা অনুসারে জিডিপি বৃদ্ধি পরের অর্থবর্ষ (২০২১-২২ ) দেখা যাচ্ছে ১১ শতাংশ হবে ।ঘুরে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধি হওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়‌ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। পাশাপাশি এই সমীক্ষা উল্লেখ করেছে চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল তা পেরিয়ে যাবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।