ওয়াশিংটন ও নেপিদ: মুক্তি দাও সু কি কে, যদি তাঁকে বন্দি করে রাখো তাহলে নেব কড়া ব্যবস্থা। এমনই হুমকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। ক্ষমতায় আসার পর এটাই তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারি।
ফক্স নিউজ, সিএনএন সহ সমস্ত মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর, মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে গৃহবন্দি দেশটির সর্বময় নেত্রী সু কি-এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। প্রেসিডেন্ট বাউডেন তাঁর মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ বৈঠক ডেকে মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সতর্ক থাকার নির্দেশ গিয়েছে সেনা সদর কার্যালয় পেন্টাগনে।
সোমবার ভোরে রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানে ফের বন্দি হয়েছেন মায়ানমারের সর্বময় নেত্রী নোবেল জয়ী আউং সান সু কি। তিনি ছাড়াও বন্দি করা হয় দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও সব মন্ত্রী নেতাদের।সরকারে থাকা দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতারা এখন সেনা ঘেরাটোপে।
বিবিসি জানাচ্ছে, অভ্যুত্থানের পর বর্মী সেনা মায়ানমারে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে। হয়েছে। সু কি অন্য নেতাদের গ্রেফতারের কারণ হিসেবে গত নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করেছে সেনা। এই মুহূর্তে মায়ানমারের ক্ষমতা কমান্ডার ইন চিফ মিন অং লাইংয়ের কাছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, সেনা ঘেরাটোপে থেকেও হুঙ্কার ছেড়েছেন নেত্রী সু কি। তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি ( এনএলডি) পার্টি সোমবার জানিয়েছে নেত্রী জনগণকে এই সেনা অভ্যুত্থান মেনে না নিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, “সামরিক বাহিনির এই পদক্ষেপ দেশকে আবার স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেয়ার পদক্ষেপ।”
গত জাতীয় নির্বাচনে সু কি প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। সেনা সমর্থিত দল কিছু আসন পায়। বিবিসি জানাচ্ছে, সোমবার নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রথম বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনি অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এর পরেই বন্দি হন সু কি। মায়ানমারের ২০১১ পর্যন্ত শাসন করেছে সামরিক বাহিনি। ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত গৃহবন্দি ছিলেন সু কি।
পরে মুক্তি পেয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নামেন। জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হন। সরকার গড়ে তাঁর দল। যেহেতু তিনি বিদেশি কে বিয়ে করেছিলেন, তাই প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। তবে সরকারের ডি-ফ্যাক্টো প্রধান (সর্বময় শাসক) পদে ছিলেন।
সু কি কে ঘিরে যে সরকার চলছিল মায়ানমারে, সেই সরকার জড়ায় রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে। বর্মী সেনা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে এই অভিযোগ ঘিরে আন্তর্জাতিক মহল সরগরম ছিল। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে চলে আসেন। বাংলাদেশ সরকার গত কয়েকবছরে তাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারকে অনুরোধ করে। কিন্তু সেদেশের সরকার টালবাহানা করছে বলে ঢাকার অভিযোগ।
রোহিঙ্গা গণহত্যার ইস্যুতে নীরব ছিলেন সু কি। অভিযোগ ছিল তিনি নিজের দেশের সেনা কে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের উপর হামলার সমর্থক ছিলেন। গণহত্যার বিবরণে বিশ্ব জুড়ে ধিকৃত হন নোবেল জয়ী সু কি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.