বিগত দু-মাস ধরে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিগত দু-মাস ধরে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ভাঙন ধরেছে মন্ত্রী-বিধায়ক স্তরে। তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়করা একে একে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এমনকী তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারাও। তাঁদের সঙ্গে দল ছেড়েছেন সাঙ্গপাঙ্গরাও।
শক্তি যাচাইয়ে ঝাঁপাচ্ছেন ‘দিদির সৈনিক’রা
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের এই প্রবণতা আটকাতে এবার প্রশান্ত কিশোর নতুন কর্মসূচি নিলেন। ২০২১ ভোটের আগে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নিতে তৃণমূল নতুন কর্মসূচি নিয়েছে। ‘আমিও দিদির সৈনিক' নামে ওই কর্মসূচিতে শক্তি যাচাইয়ে নামছে তৃণমূল। এই ফেব্রুয়ারিতেই নয়া কর্মসূচিতে শক্তি যাচাইয়ে ঝাঁপাবেন ‘দিদির সৈনিক'রা।
কারা ভেকধারী! ভোটের আগে একবার পরখ
তবে মুকুল রায়রা যেভাবে তৃণমূল ভাঙছেন, তার পাল্টা এই কর্মসূচি নয়। বরং এই কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল আরও নিশ্চিত করে নিতে চাইছে এবার মহাযুদ্ধে কাদেরকে সঙ্গে পাবে তৃণমূল। কারা এখনও ভেকধারী রয়ে গিয়েছেন তৃণমূলে, তা ভোটের আগে একবার পরখ করে নেওয়ার জন্যই ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের এই পরিকল্পনা।
ভোট-যুদ্ধে সৈনিক নিয়োগ প্রশান্ত-পরিকল্পনা
২০১৯-এ শুধু যে দল ভেঙে প্রতিপক্ষ শিবিরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ার প্রভাব পড়েছে তা নয়, অনেক নেতাই দলে থেকেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এবার সেই বিশ্বাসঘাতকতা আটকাতে চাইছেন প্রশান্ত কিশোর। কারা ঘরশত্রু, তা চিনে নিয়েই প্রশান্ত কিশোর ভোট-যুদ্ধে সৈনিক নিয়োগ করতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই পরামর্শই দিয়েছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার তৃণমূলের
‘আমিও দিদির সৈনিক' এই কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে শুরু হবে। জনসংযোগের এই ধারা শুরু হবে মালদহ থেকে। তারপর পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতে এই কর্মসূচি শুরু করা হবে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপক প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
তৃণমূলের পিকের মহা চ্যালেঞ্জ ভাঙন ঠেকানো
তৃণমূলে এখন চ্যালেঞ্জ ভাঙন ঠেকানো। কারণ যে হারে ভাঙন শুরু হয়েছে, তা জনমানসে অন্যরকম বার্তা যাচ্ছে। তাই ভাঙন ঠেকিয়ে অন্য দিকে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোর ২০১৯-এও পাল্টা ঝটকা দিয়েছিলেন। এবার একুশের ভোটের আগে তেমন কোনও ঝটকা বিজেপিকে দিতে পারেন কি না, সেটিও দেখার।
সরকার দুয়ারে, জনসংযোগে দিদির সৈনিকরাও
আপাতত বিজেপিকে পাল্টা ঝটকা দেওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না, সেটা পরের কথা। এখন তৃণমূল পরিকল্পনা নিয়েছে একদিকে দুয়ারে সরকার ও পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিরে মাধ্যমে সরকারি পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌঁছতে। অন্যদিকে ‘বাংলার গর্ব মমতা'র পর ‘আমিও দিদির সৈনিক' কর্মসূচিতে দলীয়ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে।