স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিজেপিতে যোগদানের দু’দিনের মধ্যেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকেই তাঁর জন্য এই নিরাপত্তা বরাদ্দ হয়েছে।
রবিবার ডুমুরজলায় বিজেপির সভা শেষে ফেরার পথে হাওড়ার বাঁকুড়া-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এরপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রবিবার রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দফতর থেকে তাঁকে ফোন করা হয়। জানানো হয় তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হল। এই ব্যবস্থায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় থাকবেন একজন কমান্ডান্ট-সহ সিআরপিএফ-এর ২৪ জন জওয়ান। সোমবার সকাল থেকেই এই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে চলে এসেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর মঙ্গলবার বারুইপুরে প্রথম জনসভা রয়েছে রাজীবের।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল বুলেট প্রুফ গাড়িও। অন্যদিকে, দিল্লিতে গিয়ে গত সপ্তাহে বিজেপিতে যোগ দেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যাওয়া শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তাঁকে ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকেন অর্জুন সিং-এর মতো একাধিক বিজেপি সাংসদও।
শনিবার রাজীবের সঙ্গে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন উত্তরপাড়া ও বালির বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া। তাঁরা ছাড়াও ছিলেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, রাণাঘাট পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। অমিত শাহর বাড়িতে বিজেপিতে যোগ দিলেও রবিবারই প্রথমবার গেরুয়া শিবিরের সমবেশে এলেন রাজীব। আর সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘‘ভোটের মুখে দুয়ারে সরকার করতে হচ্ছে। তার মানে এতদিন মানুষের দুয়ারে যায়নি সরকার। পাড়ায় পাড়ায় সমাধান করতে হচ্ছে। তার মানে এতদিন পাড়ায় পাড়ায় সমস্যা ছিল।’’ এর পরেই তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে শুরু থেকেই দুয়ারে দুয়ারে যাবে সরকার। পাড়ায় পাড়ায় যাবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.