স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে রেশন ডিলারদের জন্য একাধিক সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেশন ডিলারদের লাইসেন্স নবীকরণের সময় ১ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩ বছর করলেন তিনি। ‘অন্নে অনন্যা বাংলা’ নামে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইজ শপ ডিলার্স ফেডরেশনের রাজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সোমবার এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রতি বছর রেশন দোকানের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক বছর দেখতে দেখতে কেটে যায়। এটা এক বছরের জায়গায় তিন বছর করে দিতে হবে। ওদের সুবিধা হবে।’
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের ভাষণে মমতা রেশন ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আপনারাও করোনা যোদ্ধা। প্রথম সারিতে থেকে আপনারা লড়াই করেছেন। কৃষক থেকে শুরু করে পরিবেশক বা ডিলার, সকলেই করোনা যোদ্ধাদের তালিকাতেই পড়েন।’’ তিনি বলেন, আগের থেকে অনেকটাই কমিশন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিজিটাল রেশন কার্ড করা হয়েছে, কুপনে রেশন দেওয়া হচ্ছে। কম্পেনসেসন গ্রাউন্ডে আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৬০ দিন থেকে ১২০ দিন করা হয়েছে। প্রয়াত রেশন ডিলারের স্ত্রী, সন্তানরা আবেদন করে এই সুযোগ এখন নিতে পারছেন। সব মিলিয়ে আগের থেকে ডিলারদের অবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত রেশন ডিলার তথা জনসাধারণের কাছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের মানুষ করুন। দেখবেন ওরা মানুষের মতো মানুষ হবে। কিন্তু সোনার ললিপপ নিলে জন্মগ্রহণ করলে ওইটুকুই। বাবা ছেলেমেয়েকে মানুষ করবে, তারা বিদেশ চলে যাবে, বাবা–মায়ের মৃত্যু হয়ে যাবে আর কম্পিউটারে সার্টিফিকেট চলে আসবে। এটা কিন্তু করতে যাবেন না। এটা আজকাল হচ্ছে। এখন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
নতুন ডিলারশিপ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে কার্যনির্বাহী মূলধন প্রয়োজন পড়ে ৫ লক্ষ টাকা। এদিন প্রয়োজনীয় মূলধনের পরিমাণ কমিয়ে ২ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘কাজ করতে করতে কোনও রেশন ডিলার যদি দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও ঘটনায় মারা যান তা হলে তাঁর পরিবার এককালীন ২ লক্ষ টাকা পাবে।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.