নয়াদিল্লি : আগে পঞ্চাশ জন নিয়ে যে কোনও অনুষ্ঠান করতে হবে। এই নির্দেশিকাই এতদিন বহাল ছিল করোনার জন্য। আস্তে আস্তে আনলক হয়েছে দেশে। এখনও পর্যন্ত করোনারর গ্রাফ নিম্নমুখী। সবকিছু দেখে দিল্লির আপ সরকার নয়া সিদ্ধান্তে এসেছে। কেজরিওয়ালের সরকার এবার বদ্ধ স্থানে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপস্থিতির বিধি বাড়াল। খোলা স্থান হলে তার কোনও সীমা নেই বলেই জানিয়েছে দিল্লির রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, কোনও বাড়িতে যদি বিবাহ বা যে কোনও প্রকার অনুষ্ঠান হলে সেখানে সর্বাধিক ২০০ জন জমায়েত করতে পারেন। যদি তা খোলা মাঠে হয় সেই সংখ্যার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকছে না। অর্থাৎ জমায়েত হতে পারে অবাধ। ঘটনা হল আনলক হওয়ার পর থেকেই দেশে শুরু হয়ে জোরকদমে রাজনৈতিক কর্মসূচী। ইতিমধ্যেই বিহারে হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনও। প্রশ্ন উঠছিল তাহলে কীভাবে বাকি সবকিছুতে বাধ্য বাধকতা থাকতে পারে। সিনেমা হলের পর এবার বাধা উঠতে শুরু করল অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও। শুধুমাত্র বেশিরভাগ রাজ্যেই এখনও পড়াশোনা হচ্ছে আনলাইনেই।
রবিবার কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে ১০০ শতাংশ দর্শকাসন নিয়ে চলবে দেশের সব সিনেমা হলগুলি। রাজ্য সরকার আগেই এই অনুমতি দিয়েছিল তবে কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাওয়ায় স্বস্তিতে সিনেমা হলের মালিকরা। সিনেমা হল ও থিয়েটারে পুরো দর্শকাসন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি এসওপি প্রকাশ করা হয়, যেখানে কেন্দ্র টিকিটের ডিজিটাল বুকিং, শো টাইম নির্দিষ্ট সময়ের দুরত্বে রাখতে হবে এবং দীর্ঘ বিরতির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসওপিতে এও বলা হয়েছে, ‘পার্কিং লট ও সিএনমা হলের বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যথাযথভাবে এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।’ সরকারের নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, ‘সামাজিক দুরত্ব বিধি অনুযায়ী চলমান সিঁড়িতে সীমিত সংখ্যার লোক থাকবে। সাধারণ জায়গা, লবি এবং শৌচালয়ে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে হবে। সিনেমার বিরতির সময় যাতে দর্শক তাড়াহুড়ো করে এদিক ওদিক ভিড় না করে তার জন্য বিরতির সময় বাড়াতে হবে। ভিড় যাতে না হয় তার জন্য শোয়ের টাইম নির্দিষ্ট দুরত্বে রাখতে হবে।’ টিকির কাটার সময় যাতে হুড়োহুড়ি না হয় খেয়াল রাখতে হবে সে দিকেও। পাশাপাশি, যত সম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ লেনদেন করতে হবে।
করোনার দৈনিক পরিসংখ্যানে বড়সড় স্বস্তি পেল দেশ। সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ হাজার ৪২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা রবিবারের থেকে সামান্য কম। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬১০ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩৯২ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রোগমুক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৫৮ জন। আপাতত মোট অ্যাকটিভ ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৩৫ জন। করোনাজয়ীর সংখ্যা ১ কোটি ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৮৩ জন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.