সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : কোনও লক্ষ্য পূরণের দায় নেই এমনটাই দাবি অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের। কৃষি বিল সংশোধন না হলে বহুজাতিক সংস্থার হাতে চলে যাবে গণবণ্টন ব্যবস্থা । এবার কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার রেশন ডিলার সংগঠন। মূলত তাঁরা সোচ্চার হচ্ছেন ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’-এর বিরুদ্ধে।

রেশন ডিলাররা মনে করছেন, ‘প্রথমত কৃষি বিল লাগু হলে খোলাবাজারে বাড়তে পারে খাদ্যের দাম। বাড়বে রেশনের খাদ্যদ্রব্যের দাম। ফলে খাদ্য সরবরাহের পরিমাণও কমে যেতে পারে। এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী গরিব মানুষ। ক্ষতির সম্মুখীন হবে লক্ষাধিক রেশন ডিলাররাও।’ তাঁরা এও মনে করেছেন, ‘কেন্দ্র যে এক দেশ এক কার্ড ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আদৌ সম্ভব না। ডিলার কমিশন পুনঃবিন্যাস এর ব্যাপারে কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।’

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে রাজ্যের রেশন ডিলার সংগঠনের নেতা বিশ্বম্ভর বসুর। তিনি জানিয়েছেন, ‘নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রেশন ডিলারদের নিয়ে একটি আলোচনায় বসবেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বেলা সাড়ে ১০টায় শুরু হবে এই মিটিং। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মেয়র ববি হাকিম সহ রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডে ,পূর্ণেন্দু বসু, সুজিত বসু, সৌগত রায়, সুব্রত মুখার্জি ,মলয় ঘটক, তপন দাশগুপ্ত, তাপস রায় ও সাংসদ দোলা সেন।’

প্রসঙ্গত এক দেশ এক রেশন কার্ড কী? কেন্দ্রের যুক্তিই বা কী ছিল এর পক্ষে? সরকার ২০১৯ সালে জানিয়েছিল তারা তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র্প্রদেশের মধ্যে এবং মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মধ্যে আন্তঃরাজ্য বহনক্ষম রেশন কার্ডের পাইলট প্রকল্প চালু করবে- যা এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। কেন্দ্রের যুক্তি, যেহেতু রেশন কার্ড রাজ্য সরকার ইস্যু করে থাকে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যশস্যের মাধ্যমে যাঁরা উপকৃত হবেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রেশন দোকান থেকেই রেশন সংগ্রহ করতে হবে।

এই কার্ডের সুবিধা কী? কেন্দ্র জানিয়েছিল, যদি কেউ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যান, সেক্ষেত্রে তাঁকে দ্বিতীয় রাজ্যে গিয়ে ফের রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে না। এ ছাড়াও আরও জটিলতা ছিল। যেমন বিয়ের পর কোনও মহিলার পিতৃমাতৃগৃহের রেশন কার্ড থেকে নাম সরিয়ে তা স্বামীর পরিবারের রেশন কার্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। এক রাজ্য এক রেশন কার্ড সারা দেশের রেশন ডেলিভারির মধ্যে ফাঁক পূরণের চেষ্টা। কার্যত এই প্রকল্প দেশের মধ্যেকার পরিযায়ী ধরনের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে, যেহেতু কিছু মানুষ কাজের খোঁজে ও জীবনযাত্রার উচ্চতর মানের জন্য এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে থাকেন। ২০১১ সালের জনগণনা রিপোর্ট অনুসারে ভিন রাজ্যে পরিযায়ীর সংখ্যা ৪.১ কোটি এবং কাজের খোঁজে রাজ্যের মধ্যে বা ভিন রাজ্যে গিয়েছেন ১.৪ কোটি মানুষ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।