সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে চিন্তা বাড়বে মমতার
এবার ভোটে আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েই নামতে চলেছে মিম। ওয়েইসির মিম আর সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট যদি জোট বাঁধে তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে চিন্তা বাড়তে বাধ্য। ওয়েইসি যে অবস্থান নিয়েছেন বাংলায় এসেই, তাতে বিজেপির বি টিম বলা যাবে না। কিন্তু বিজেপিকে সুবিধা করে দেবে তৃণমূলের ভোট কেটে।
ওয়েইসি-সিদ্দিকি জোট বাঁধলে মুসলিম ভোটেই থাবা
রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ বলছে, বাংলায় সিংহভাগ মুসলিম ভোট তৃণমূলের দিকে। ওয়েইসি বাংলায় এলে এবং সিদ্দিকের দলের সঙ্গে জোট বাঁধলে যে প্রধানত সেই মুসলিম ভোটেই থাবা বসবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিহারে মাত্র ১৯টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল মিম, তার মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্র তাঁরা জয়যুক্ত হয়েছেন।
বাংলাতেও সেই বিহার মডেল নিয়েছে মিম
বিহারের বাংলা সীমান্ত এলাকাতেই প্রার্থী দিয়েছিলেন ওয়েইসি। এই মুসলিম এলাকায় দাপট ছিল আরজেডির। কিন্তু মিম মুসলিম ভোট কাটায়, বিহার ভোটে সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এবার বাংলাতেও সেই বিহার মডেল নিয়েছে মিম। বিহারের রাজ্য সভাপতি ও বিধায়কদের এনে পর্যবক্ষেকের আসনে বসিয়েছে তাঁরা।
বাংলার মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক, যেসব জেলা টার্গেট মিমের
একেবারে বিজেপির স্টাইলে পাঁচ বিধায়ককে এনে জোন ভাগ করে দায়িত্ব দিয়েছেন ওয়েইসি। বাংলার মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক বেশি রয়েছে যেসব জেলায়, সেই জেলা ধরে ধরে মিম অঙ্ক কষছে। ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী মুর্শিদাবাদে সবথেকে বেশি মুসলিম ভোট রয়েছে ৬৬.২৭ শতাংশ। তারপর আছে মালদহে ৫১.৩ শতাংশ এবং উত্তর দিনাজপুরে ৫০ শতাংশ। বীরভূমে ৩৭ শতাংশ, নদিয়ায় ২৭ শতাংশ, কোচবিহারে ২৫.৫৪ শতাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২৫ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা।