শিলিগুড়ি : বাজেট নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই বাজেট কৃষক বিরোধী, দেশ বিরোধী ও সর্বোপরি জনগণ বিরোধী, শিলিগুড়ির সভা মঞ্চ থেকে কার্যত এই ভাষাতেই বাজেটের সমালোচনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা বাজেটের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন এটা কী ধরণের বাজেট ? এই বাজেটের কোনও সারবত্তা নেই, এবারের বাজেট ভুয়ো। মমতা আরও বলেন কেন্দ্র সরকার ক্রমশ পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়াচ্ছে। সেস তুলে নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার কোনও সাহায্য পাচ্ছে না। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকরা। ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে মোদী সরকার।

কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন বিএসএনএল, রেল, এয়ার ইন্ডিয়ার মত সরকারি সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ হচ্ছে ক্রমশ। কর্মসংস্থান নেই। কিন্তু বাংলায় চাকরির স্থায়ীত্ব রয়েছে। বাংলা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট দেখে রীতিমত হতাশ। এই বাজেটে যুবকদের জন্য কোনও দিশা নেই।

বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মমতার দাবি একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে বিজেপি। নির্বাচনের আগে রাজ্যের চা বাগানগুলো খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কটা চা বাগান খোলা হয়েছে, তা হাতে গুনে বলা যাবে। বিজেপি শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়। মিথ্যাচার করা বিজেপির স্বভাব।

এদিন শিলিগুড়িতে মমতা বলেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। অসমে তৈরি করা বিমানবন্দর চালু হয়ে গেল, অথচ কোচবিহার বিমানবন্দর এখনও চালু হল না কেন, তার জবাব এদিন চান মমতা। তিনি বলেন বৈষম্যের রাজনীতি করে বিজেপি। সেই পথে তিনি বিশ্বাস করেন না।

এদিন পেপারলেস বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মমতার দাবি প্রযুক্তির উন্নয়নের বকলমে বিজেপি বাজেটে কারচুপি করেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।