নয়াদিল্লি: ক্রমেই কৃষকদের আন্দোলন তীব্র হচ্ছে। কৃষকদের একটাই দাবি তিন কৃষি আইন পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। আর এই দাবিকে সামনে রেখেই শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে চাক্কা জ্যামের রাস্তায় হাঁটছে কৃষকেরা।

আগামী শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৩ টে অবধি সারা দেশের রাস্তা অবরোধ করতে চলেছেন আন্দোলনরত কৃষকেরা। নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কিষাণ মোর্চা ৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে চাক্কা জ্যামের কথা ঘোষণা করেছে। শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে অবধি কৃষকেরা রাস্তা আটকাবেন।

লাগাতার কয়েকমাস ধরে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। ক্রমাগত আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়িয়ে চলেছেন কৃষকেরা। ৩০ জানুয়ারি জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে এক দিনব্যাপী অনশন পালন করেছে কৃষকেরা। আবার ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষক সংগঠন ট্র্যাকটর র‍্যালি করেছিল। সেই র‍্যালি ঘিরে অবশ্য অশান্তি কম হয়নি।

বেহিসাবী নয়, কৃষকদের নিয়ন্ত্রিত আন্দোলনের জোরে কপালে ভাঁজ কেন্দ্রের। রবিবারই আন্দোলনের চার মাস পূর্ণ হয়েছে। এবার সেই বিক্ষোভ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন কৃষক নেতারা। পঞ্জাবের পঞ্জায়েতগুলির নিদান তাদের গ্রামের বাড়িগুলির প্রত্যেক সদস্য এই বিক্ষোভে যোগ দিন, নতুবা জরিমানা করা হবে।

পঞ্জাব পঞ্চায়েতগুলি জানিয়েছে প্রত্যেকটি বাড়ি থেকে অন্তত পক্ষে একজনকে এই বিক্ষোভে সামিল হতেই হবে, নয়তো ওই বাড়িকে জরিমানা দিতে হবে। পয়লা অক্টোবর ২০২০, শুরু হয়েছিল কৃষক আন্দোলন। রেল লাইন, কয়েকজন বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে ও টোল প্লাজা আটকে বিক্ষোভের সূচনা হয়। ক্রমশ সুর চড়তে থাকে।

অন্যদিকে কৃষকদের আন্দোলন রুখতে সচেষ্ট সরকারও। হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের সরকার কৃষি আইন বিরোধী প্রচার রুখতে বিভিন্ন জেলায় বন্ধ রেখেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। হরিয়ানা সরকার দিল্লির লাগোয়া ১৭টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। উত্তর প্রদেশের দিকেও বিভিন্ন জেলায় বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। এদিকে পাল্টা চাপ দিতে তৈরি কৃষকরা। একেকটি মহাপঞ্চায়েতে নেওয়া সিদ্ধান্তের রেকর্ড শোনানো হচ্ছে এলাকা ভিত্তিক মন্দির মসজিদের মাইক থেকে। কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দেওয়া ভাষণ যাতে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে মন্দির ও মসজিদের মাইক।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।