শুরু থেকেই আত্মমণাত্মক শুভেন্দু
আজ সোমবার পূর্ব বর্ধমানে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভাষণের শুরু থেকেই এদিন আক্রমণাত্বক ছিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। তোলাবাজ ভাইপো থেকে একাধিক ইস্যুতে এদিন মুখ খোলেন তিনি। আর সেখানে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দুর। তাঁর দাবি, ‘গতকাল টেট পরীক্ষা ছিল। বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু। আর ১১.৪০ মিনিট থেকে সবার মোবাইলে প্রশ্নপত্র ঘুরছে।' কিভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হল তা নিয়ে তদন্তের দাবিও এদিন তুলেছেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। তবে এদিনের শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক দাবি ঘিরে সরগরম রাজ্যের শিক্ষামহল।
কারচুপির অভিযোগ
এদিনের বর্ধমানের সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করেন, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে কারচুপি করে জিতেছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রেও গণনায় কারচুপি করে জিতেছে। ১৬টা ইভিএম আটকে রেখে ২,৫০০ ভোটে জিতেছে।' পূর্ব বর্ধমান একটা সময় বামেদের লাল দুর্গ বলা হতো। এদিন শুভেন্দু বলেন, বর্ধমানে অনেক বামপন্থী মানুষ আছেন। তাঁদের প্রতি আমার আহবান, ‘পুরসভা - পঞ্চায়েত ভোট যদি করাতে চান তাহলে বিজেপিকে ভোট দিন।'
বিজেপি ক্ষমতায় আসলে প্রতি বছর এসএসসি
তবে এর আগে কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে ছিলেন, 'সামনের বিধান ভোটে জিতলে তিনি বাংলায় আমুল পরিবর্তন আনবেন। তিনি জানান, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষা হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করা হবে। ২ থেকে ৩ হাজার টাকার চাকরি আর থাকবে না বাংলায়। একই সঙ্গে বাংলায় বেকারত্ব দূর হবে বলেও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু।
টেট পরীক্ষা দেয় ২.৫ লাখ প্রার্থী
গত রবিবার রাজ্যজুড়ে নেওয়া হয় ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের পরীক্ষা। দীর্ঘদিন পর টেটের পরীক্ষা হয়। দুপুর ১ টা থেকে শুরু হয় এই পরীক্ষা। মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা দেয় প্রায় ২.৫ লাখ প্রার্থী। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনেই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পর্ষদের তরফে আরও জানানো হয় যে, প্রতিটি কেন্দ্রে যতজন পরীক্ষার্থী থাকতেন, সেই সংখ্যাটা এবার অর্ধেক হয়। দূরত্ববিধির নিয়ম পালনের জন্য প্রতিটি বেঞ্চে সর্বাধিক দু'জন বসে ছিলেন। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে থার্মাল স্ক্রিনিং হয়। কোনও প্রার্থীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে তিনি পৃথক রুমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় পর্ষদের তরফে। শুধু তাই নয়, প্রশ্ন যাতে ফাঁস না হয় সেজন্যে কড়া নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখা যায় যে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ফাঁস হয়ে যায় প্রশ্নপত্র।