
যেসব জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি
আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে মূলত উত্তর-পশ্চিমের শীতল ও শুষ্ক বাতাসের জেরে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিন জলপাইগুড়ি, মালদহ, বাঁকুড়া, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদিয়ায় একাধিক জায়গায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এছাড়াও সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। গত দশবছরের মধ্যে এবারই ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা এত নেমে গিয়েছে।
যেসব শহরে শৈত্যপ্রবাহ
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যদি রাতের তাপমাত্রা দশ ডিগ্রির নিচে নেমে যায় তাহলে এবং দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি নেমে গেলে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেইমতো এদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন ১১.৪ ডিগ্রি (-৪.৫), দমদমে ৯.৬ ডিগ্রি (-৫.৩), ডায়মন্ড হারবারে ১০.৯ ডিগ্রি (-৪.৯), বাঁকুড়া ৯.১ ডিগ্রি ( -৫), শ্রীনিকেতনে ৭ ডিগ্রি (-৫.৯), কল্যাণীতে ৬.৫ ডিগ্রি (-৭), মালদহে ৮.৯ ডিগ্রি (-৫) এবং জলপাইগুড়িতে ৬.৯ ডিগ্রি (-৪.৭) সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল ।
পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ীসারা পশ্চিমবঙ্গেই শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে কোনও কোনও জায়গায় ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সতর্কবার্তা
আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী দুদিন শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যার জেরে হলুদ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এই সময়ে বয়স্ক এবং শিশুদের প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে। বলা হয়েছে তাঁরা যেন রাতে এবং ভোরের দিকে ঘরের ভিতরে থাকেন। উলের জামাকাপড় অবশ্যই ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে। এছাড়াও এই শীতে পশু এবং খামারে থাকা মুরগির ক্ষতি হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।