মেদিনীপুরঃ আগামী ৭ তারিখ হলদিয়াতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভায় যাতে তিনি থাকেন সে কারণে ইতিমধ্যে দিব্যেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে। প্রটোকল অনুযায়ী সেখানে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়ে ছিলেন তিনি।
কিন্তু আজ জল্পনা উড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রতাপের সঙ্গে বৈঠক করলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই। আর এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। খুব শীঘ্রই কি তাহলে বিজেপির পথে তিনি? যদিও বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দিব্যেন্দু।
তবে তিনি জানিয়েছেন, হলদিয়াতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। যা তাঁর সংসদীয় এলাকার মধ্যে পড়ে। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগাম প্রস্তুতি নিয়েই এদিনের এই বৈঠক বলে জানিয়ছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই।
উল্লেখ্য রামনবমীর আগে আমার বাড়িতে সমস্ত পদ্ম ফুটে যাবে। বিভিন্ন সভা থেকে একাধিকবার এহেন মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ঠিক কবে তাঁর বাড়িতে বাকি পদ্ম ফুটবে তা নিয়ে জল্পনা রয়েই গিয়েছে। আর এর মধ্যেই আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া হেলিপ্যাড ময়দানে I.O.C অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই সরকারি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিবেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে।
সেই আমন্ত্রণ স্বীকারও করেছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে মোদীর সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যাবে দিব্যেন্দুকেও। আর তাতেই জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। আর এরই মধ্যে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে দিবেন্দু জানিয়েছেন, সরকারি অনুষ্ঠান যেতেই পারি। প্রটোকল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী আসলে স্থানীয় সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই মতো আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি থাকবেন বলে জানিয়েছেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েছেন কিনা সেই প্রসঙ্গে সাংসদ জানিয়েছেন, সরকারি অনুষ্ঠানে প্রটোকল মেনেই যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর একদিনের ঝটিকা সফর হলেও, সূত্র মারফত খবর আরও জানা গিয়েছে যে, সম্ভবত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও এই মুহূর্তে কোনও কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়নি রাজ্য বিজেপি পক্ষ থেকে।
যদিও তার আগে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ঠিক তার পরের দিনই জেলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। আর যাকে ঘিরে ক্রমশ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক সমীকরণে রাজ্য রাজনীতি পারদ ক্রমশ বাড়ছে।
ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে কথায় নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে ঘোষণা করেন স্বয়ং নেত্রী নিজ মুখেই। আর জননেত্রীর জবাব ফিরিয়ে দেন এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের নেতা হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর ক্রমশ তৃণমূল নেতৃত্বকে আক্রমণ করে চলেছে। শুভেন্দুর মুখ থেকে শোনা যায় যে মমতা বন্দোপাধ্যায় যদি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হন তাহলে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ৫০ হাজার ভোটে হারাবো। এদিকে পাখির চোখ বিধানসভা ভোট। রাজ্যবাসীর মন পাওয়ার চেষ্টার কসুর করছে না বিজেপি।
‘নিয়ম’ করে রাজ্যে আসছেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। এবার ফের একবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় ঝটিকা সফরে আসবেন মোদী।
সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। তবে ভোট ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে কি বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.