কলকাতা”  নন্দীগ্রামে এবার প্রেস্টিজিয়াস ফাইট! ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই শুভেন্দুর ফেলে আসা আসনে নিজের নাম ঘোষণা করেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা সেখানেই ৫০ হাজার ভোটে হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

ফলে গোটা রাজ্যের নজর এখন নন্দীগ্রামের দিকে। শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানের দেওয়াল লিখনও। এই অবস্থায় নন্দীগ্রামের মানুষের মন বুঝতে দলের বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সেখানে পাঠাচ্ছে তৃণমূল৷

তৃণমূল সূত্রে খবর, পয়লা ফেব্রুয়ারি নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখানে তিনি তিনদিন থাকবেন। ব্লকগুলিতে ঘুরে সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দিয়েই নন্দীগ্রামের জমি জরিপের কাজটি সারতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এব্যাপারে সুব্রত মুখোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি নন্দীগ্রামের প্রত্যেক বুথে যাবেন। জনগণের মতামত শুনবেন। সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি যাচাইয়ের চেষ্টা করবেন। তারপর কলকাতায় ফিরে তিনি দলকে রিপোর্ট দেবেন। যদিও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে যাওয়ার আগেই সেখানে পৌঁছে গেলেন আরেক ‘সুব্রত’! আজ রবিবার সকালে নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন সুব্রত বক্সি।

জানা যাচ্ছে, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও সেখানে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী কয়েকদিন সেখানে কাটানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নন্দীগ্রামে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, তেখালির সভা থেকে গত ১৮ জানুয়ারি তৃণমূলনেত্রী ঘোষণা করেছিলেন, তিনি কলকাতার ভবানীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, দু’জায়গা থেকেই প্রার্থী হতে পারেন। পরের দিন দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র সভা থেকে মমতাকে হাফ লাখ ভোটে হারানোর কথা বলেন শুভেন্দু।

এর পর পালটা নন্দীগ্রামের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে কে দাঁড়াবে সেটা দল ঠিক করবে। ৩টি অঞ্চলে তৃণমূল কিছু ভোট পেতে পারেন। বাকি ১৪টা অঞ্চলে জিতবে বিজেপি। এখানে তৃণমূল নেত্রীকে আমি নিশ্চিত হারাব।’’

নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়কের কথায়, ‘‘এই মাটি আমি চিনি। ২০০৪ সালে আমি লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন আমাকে কেউ চিনতেন না। আমি হেরে গিয়েছিলাম। বাম প্রার্থীর সঙ্গে ব্যবধান ছিল মাত্র ৫ হাজার। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে জিতেছিলাম ৯০ হাজার ভোটে। ২০১৪ সালের লোকসভাতেও আমার জয়ের ব্যবধান ছিল ৮৫ হাজার। এর পর ২০১৬ বিধানসভা জিতেছিলামন ৮২ হাজারেরও বেশি ভোটে।’’

২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে নন্দীগ্রাম থেকে জিতেছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তারপর রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের মূল আন্দোলনস্থলের রাজনৈতিক চিত্রে বদল এসেছে অনেক। তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ দু দশকের সম্পর্কে ইতি টেনে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তারপর থেকেই বারবার তৃণমূলকে হারানোর হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে তাঁর গলায়। আর এতেই স্পষ্ট নন্দীগ্রামে এবার মমতা বনাম শুভেন্দুর লড়াই৷

নন্দীগ্রামে ‘প্রস্টিজ ফাইট’ জিততে তাই বিশেষ প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের খবর, শুভেন্দুর শিবির বদলের পর নন্দীগ্রাম ও সংলগ্ন এলাকার তৃণমূলের সংগঠনও খানিকটা দিশেহারা৷ সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও প্রকট। ভোটের আগে সেসব জট খোলা না হলে তার প্রভাব পড়তেই পারে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর৷ এই আশঙ্কা থেকেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, নন্দীগ্রাম প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা করার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।