নয়াদিল্লি : ক্রমশ যেন বিবাদ চরমে উঠেছে ফিউচার গোষ্ঠী এবং মার্কিন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের মধ্যে। ফলে ফিউচার গোষ্ঠীর কর্তা কিশোর বিয়ানি একপ্রকার ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অ্যামাজনের আচরণ দেখে। কিশোর বিয়ানি সহ তার পরিবারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের দাবি তুলে মামলা করেছিল অ্যামাজন। এবার পাল্টা দাবি তুললেন বিয়ানি। তার বক্তব্য, অ্যামাজন ফিউচারের সঙ্গে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর চুক্তি ঘিরে অযথা আপত্তি তুলেছে তার ফলে ক্রেতা এবং সংস্থার কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। তিনি অ্যামাজনের বাজার দখলকে একেবারে আলেকজান্ডারের নির্মম সাম্রাজ্য বিস্তারের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

ভারতে খুচরো ব্যবসার বাজার অ্যামাজন ওয়ালমার্টের মত মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার পাশাপাশি সম্প্রতি এদেশের মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে এদেশের খুচরো ব্যবসা আলাদা দিশা দেখানো‌ কিশোর বিয়ানির ফিউচার গোষ্ঠী যখন সংকটে পড়ে তখন সেই ব্যবসা কিনে নিতে এগিয়ে আসে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। কিন্তু সেখানে আপত্তি তোলে ফিউচারে লগ্নি করা অ্যামাজন। এমনভাবে বিক্রি বৈধ নয় বলে প্রশ্ন তুলে আদালতে যায় অ্যামাজন। দিল্লি হাইকোর্টের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত গিয়েছে এই ই-কমার্স সংস্থাটি। যদিও উল্টে আবার অ্যামাজনের দাবিকে অযৌক্তিক বলেছে ফিউচার।

কিশোর বিয়ানির বক্তব্য, করোনার জেরে তার ব্যবসা আর্থিক সংকটে পড়ে আর তখন রিলায়েন্সকে তাদের ব্যবসা বিক্রি করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। কিন্তু এখন অ্যামাজন অন্যায় ভাবে তাতে বাধা দিচ্ছে। ভারতের বহু ব্র্যান্ডের বিদেশি লগ্নির অনুমোদন নেই। তিনি জানিয়েছেন, এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন হয়ে কর্মীরা বারবার তাকে ফোন করছেন। এদিকে অ্যামাজন তার পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠদের পাশাপাশি সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের কর্তাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।আর এভাবে দীর্ঘ আইনি জটিলতা ও হয়রানি করেই বাজার দখল করাটাই আমাজনের কৌশল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। আর অ্য়ামাজনের বাজার  দখলের আচরণ দেখে তা আলেকজান্ডারের নির্মম সাম্রাজ্য মতোই মনে হয়েছে তাঁর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।