কলকাতাঃ  বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছেন তিনি। বামপন্থী রুদ্রনীলের বিজেপি যোগে রীতিমত উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। রুদ্রের সমালোচনায় সরব হলেন বামপন্থী গুণীজনরা। একযোগে মুখ খোলেন অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্ররা।

রুদ্রনীলের বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন,‘বামপন্থীদের লোভ কম। তাই আমাদের দলবদল করার দরকার পড়ে না।’ দীর্ঘ ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে যাদবপুরে চলছে শ্রমজীবী ক্যান্টিন। সেখানেই আজ রবিবার যোগ দেন বাম মনোভাবপন্নো এই পরিচালক। সেখানেই নাম না করে এভাবে রুদ্রনীলের সমালোচনায় সরব হলেন তিনি।

শুধু কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় নন, যেভাবে রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপিতে যোগ দিলেন তা নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা বাদশা মৈত্রও। তাঁর মতে, ‘মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থাকলে একবার অন্তত শ্রমজীবী ক্যান্টিনে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে আসতেন। যাঁরা দলবদল করেছেন, তারা ব্যক্তিগত স্বার্থে সেকাজ করছেন। আমার কিছু বলার নেই।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে রুদ্রনীল ঘোষকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু, ঘাসফুলের সঙ্গে সাত বছরের সংসারের পর আচমকাই তিনি ‘সাতে পাঁচে’ না থাকার দাবি করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বপদে বসানো হয়েছিল তাঁকে।

এরপর ২০১৫ সালেই রাজ্য সরকারের জনপরিষেবা অধিকার কমিশনার করা হয় রুদ্রনীলকে। সে সময়ে ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে, ফিল্মে ফেস্টিভ্যালে তাঁকে দেখা যেত। তবে গত দেড় বছর ধরে সেই তাল কেটেছে। তবে সরকার থেকে মোটা মাইনের বেতন পেলেও সম্প্রতি দলের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অভিনেতা।

সাফ জানিয়েছিলেন, পরিবর্তনের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসনে বিজেপিকে নিয়ে এসেছিলেন বাংলার মানুষ। আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে কাজ করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন। তবে, বিজেপিতে যোগ দিলেও রুদ্রনীলের রাজনৈতিক আদর্শের স্থিরতা কতটা থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।

বলা প্রয়োজন, তৃণমূলের আগে দীর্ঘদিন বাম রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এই অভিনেতা। ফলে অনেকেই রুদ্রনীলের এই ভূমিকাকে কটাক্ষ করে বলছেন, লাল থেকে গেরুয়া! মাঝে সবুজ কিছুই বাদ দিলেন না ‘সুবিধাভোগী’ রুদ্রনীল ঘোষ।

যদিও আমি কোনওদিনই তৃণমূলের সদস্য ছিলাম না। রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে বিজেপির মেগা শোতে বক্তব্য রাখতে উঠে এমনটাই জানিয়ছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।