কলকাতা: বাংলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত মাত্র ২২৯ জন৷ করোনা গ্রাফ উর্ধমুখী হওয়ার পর এই প্রথম ২৫০ এর নিচে নেমে এল সংক্রমণ৷ তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের মৃত্যুহার৷ রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী,একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২২৯ জন৷
শনিবার ছিল ৩১০ জন৷ শুক্রবার ছিল ২৮৬ জন৷ সব মিলিয়ে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৯৮ জন৷ বাংলায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের৷ শনিবারও সংখ্যাটা একই ছিল৷ তারফলে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ১৭৩ জন৷
এদের মধ্যে শুধু কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩,০৭৪ জনের৷ আর উত্তর ২৪ পরগণার সংখ্যাটা ২,৪৭২ জন৷ গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের৷ আর হাওড়ায় ২ জন৷ এছাড়া কলকাতা,দক্ষিণ ২৪ পরগণা,হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরে একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছেন৷
কলকাতাসহ ২৩ টি জেলার মধ্যে ১৭ টি জেলাতে গত ২৪ ঘন্টায় কারও মৃত্যু হয়নি৷ তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুহারও ৷ ৩০ জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ৷ বেশ কিছুদিন ধরে সংখ্যাটা একই জায়গায় দাড়িয়ে আছে৷
তবে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনের সংখ্যাটা কমে ১ হাজার ৫ জন৷ হোম আইসোলেশনে ৪ হাজার ৬৫১ জন৷ আর সেফ হোমে রয়েছেন মাত্র ১৫ জন৷ বাংলায় গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩৮জন৷ শনিবার ছিল ৩৪১ জন৷ শুক্রবার ৩৪৯ জন৷
সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৭২ জন৷ আর সুস্থতার হার বেড়ে ৯৭.২৪ শতাংশ৷ একদিনে টেস্ট হয়েছে ২৫ হাজার ৪৬টি৷ শনিবার ছিল ২৬ হাজার ১০৭ টি৷ শুক্রবার ছিল ২৫ হাজার ৬৪ টি৷ ফলে মোট করোনা টেস্ট হয়েছে প্রায় ৮০ লক্ষ৷
তথ্য অনুযায়ী ৭৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টি৷ ফলে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্টের সংখ্যা বেড়ে হল ৮৮,৮৪৩ জন৷ অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা কমে ৬ হাজারের কম৷
তথ্য অনুযায়ী,৫ হাজার ৫৫৩ জন৷ শনিবার ছিল ৫ হাজার ৬৭১ জন৷ তুলনামূলক ১১৮ জন কম৷ ২৮ অক্টোবর ২০২০ তে করোনায় অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ৩৭ হাজারের বেশি৷ তিনমাস পর সেই সংখ্যাটা কমে ৬ হাজারের নিচে নেমে এল৷ যা বাংলার স্বস্তি৷
এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ১০৩ টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে৷ আরও ১ টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে৷
বি: দ্র: – প্রতিদিন সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে যে বুলেটিন প্রকাশিত হয়,সেখানে আগের দিন সকাল ৯ টা থেকে বুলেটিন প্রকাশিত হওয়ার দিন সকাল ৯ টা পর্যন্ত তথ্য উল্লেখ করা হয়৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.