বুয়েনস আইরেস: আজ থেকে ৯ কোটি ৮০ লক্ষ বছর আগে এই পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়াত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাণী৷ ২০১২ সালে আর্জেন্তিনা থেকে সুদীর্ঘ গলা বিশিষ্ট ডায়নোসরের জীবাশ্মটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা৷ মনে করা হয়, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণি৷ তবে এখনও এটি সম্পূর্ণ উত্তোলন করা হয়নি৷
এখনও পর্যন্ত যে হাড়গুলি মাটি খুঁড়ে বার করে আনা হয়েছে, সেগুলি পরীক্ষার পর মনে করা হচ্ছে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী৷ গত সপ্তাহে ক্রেটিসিয়াস রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাড়গুলোর মধ্যে ডাইনোসরের পেলভিক স্ট্রাকচার ও লেজের ২৪টি অংশের কশেরুকা পাওয়া গিয়েছে। ওই ডাইনোসর টাইটানোসর প্রজাতির। এরা সরোপড হিসেবে পরিচিত। সে সময় পৃথিবীতে যেসব প্রাণী ছিল, তারমধ্যে সরোপড অন্যতম। তাদের দীর্ঘ ঘাড় এবং লেজ, বিশাল দেহ, ছোট মাথা ও হাতির মতো চারটি পা ছিল। এরা নিরামিষভোজী।
জুরাসিক যুগের শেষ থেকে ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষ পর্যন্ত এই প্রজাতির ডায়নোসর পৃথিবীর বুকে বাস করত৷ তবে এই ডায়নোসর নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও তাঁদের গবেষণা সম্পূর্ণ করতে পারেনি৷ ফলে এই ডায়নোসরকে নতুন প্রজাতির বলে চিহ্নিত করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই৷
জুরাসিক পার্ক ছবিতে যে সব জনপ্রিয় ডাইনোসর ছিল, তারা সবাই সওরোপড প্রজাতির। এদের মধ্যে ছিল ডিপ্লোডোকস, অ্যাপাটোসরাস, ব্রঙ্কিওসরাস এবং ব্রন্টোসরাস। এই ডাইনোসররা জুরাসিক যুগে (১৫০ মিলিয়ন বছর আগে) পৃথিবীতে বাস করত। ক্রেটিসিয়াস যুগের শেষের দিকে (প্রায় ৭০ মিলিয়ন বছর আগে) টিটানোসররা প্রাধান্য পেয়েছিল। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে একটি বড় গ্রহাণু ধাক্কা দেয়। তখন বেশিরভাগ অ-অ্যাভিয়ান ডাইনোসরগুলির মতো ক্রিটাসিয়াস-প্যালিওজিন প্রজাতিও পৃথিবী থেকে মুছে যায়।
জানা গেছে যে টিটানোসরাস হল সওরোপডদের মধ্যে বৃহত্তম। বিলুপ্তির আগে অন্যান্য সমস্ত সওরোপডকে এরা মেরে ফেলে। ৪০ হাজার কেজি থেকে ৯০ হাজার কেজি হত এদের ওজন। প্রাণীগুলির মধ্যে বৃহত্তম টিটানোসরাস জীবাশ্মগুলি পাতাগোনিয়া থেকে এসেছে। ওখানেই নতুন জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.