পানাজি: তারকাখোচিত মুম্বইকে হারাতে আইএসএলের বাকি দলগুলোর যখন কালঘাম ছুটে যাচ্ছে তখন ব্যতিক্রমী নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। আইএসএলের প্রথম ম্যাচে মুম্বইকে হারিয়ে চমকে দেওয়ার পর শনিবার ফিরতি পর্বেও সার্জিও লোবেরার দলকে হারিয়ে চমক দিল হাইল্যান্ডাররা। জেরার্ড নাসকে সরিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ খালিদ জামিলকে দায়িত্ব দেওয়ার পর এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয় পেল নর্থ-ইস্ট। সেইসঙ্গে হায়দরাবাদকে টপকে লিগ টেবিলে চার নম্বরে উঠে এল তারা।
দিনটা এদিন ছিল বেঙ্গালুরু থেকে জানুয়ারি ট্রান্সফারে নর্থ-ইস্টে যোগ দেওয়া দেশর্ন ব্রাউনের। পঞ্চম মিনিটে লুইস মাচাদোর দূরপাল্লার শট অমরিন্দর দারুণ সেভ করলেও মুম্বই বক্সে বিপদ কাটেনি। ফলো-থ্রু’তে বল গিয়ে পৌঁছয় নিম দর্জির পায়ে। দর্জির ডানপ্রান্তিক ঠিকানা লেখা ক্রস বক্সে অরক্ষিত ব্রাউনের পায়ে পৌঁছতেই চকিতে শট নেন জামাইকান স্ট্রাইকার। শুরুতেই গোল খেয়ে কিছুটা হকচকিয়ে যায় মুম্বই রক্ষণ। যদিও প্রথম গোলের রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই মুম্বইয়ের কফিনে দ্বিতীয় পেরেকটি পুঁতে দেন সেই ব্রাউন।
ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় ব্রাউনের দ্বিতীয় গোলটি সেটপিস থেকে। গালেগোর কর্নার মুম্বই রক্ষনে আংশিক প্রতিহত হলে সতীর্থ মাচাদোর পায়ে লেগে বল জমা পড়ে ব্রাউনের আস্তানায়। মুহূর্তে মধ্যে হাফ টার্নে বল ফের জালে জড়িয়ে দেন জামাইকার এই স্ট্রাইকার। ১৯ মিনিটে গোলের সামনে আরেকটু মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলে হ্যাটট্রিকটা তখনই তুলে নিতে পারতেন তিনি। কিন্তু প্রভাত লাকরার বামপ্রান্তিক ক্রস থেকে অরক্ষিত ব্রাউন একা অমরিন্দরকে সামনে পেয়েও অন টার্গেট থাকতে ব্যর্থ হন। উলটোদিকে বল দখলে রেখে খেলার চেষ্টা করলেও প্রথমার্ধে সেই অর্থে কোনও ক্লিয়ার-কাট সুযোগ পায়নি মুম্বই।
৪১ মিনিটে আহমেদ জাহৌ দূরপাল্লার একটি শটে শুভাশিস রায়চৌধুরির পরীক্ষা নেন। কিন্তু দুরন্ত রিফ্লেক্সে সেই শট বাঁচিয়ে দেন নর্থ-ইস্টের বঙ্গ গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধটাও ইতিবাচক ভঙ্গিতে শুরু করে নর্থ-ইস্ট। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে মাপুইয়া দূরপাল্লার শটে পরীক্ষা নেন অমরিন্দরের। দ্রুত নিজেদের সংগঠিত করে ফের পজেশনাল ফুটবল শুরু করে আইল্যান্ডাররা। ৬৯ মিনিটে জাহৌর দুরন্ত ফ্রিকিক ফিস্ট করে দেন শুভাশিস। বিপক্ষের ফাইনাল থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল লোবেরার দল। উপায় না দেখে শেষ পনেরো মিনিটে আক্রমণে আরও চাপ বাড়ায় মুম্বই। অবশেষে ৮৫ মিনিটে নর্থ-ইস্টকে একটি গোল ফিরিয়েও দেয় তারা।
মুম্বইয়ের গোলটি নিজেদের মধ্যে দুরন্ত বোঝাপড়ার ফসল। পরিবর্ত ফন্ড্রের সঙ্গে ওয়াল খেলে নর্থ-ইস্ট বক্সে ঢোকেন বোউমাস। এরপর ওগবেচের উদ্দেশ্যে ছোট্ট ক্রস রাখেন ফরাসি মিডিও। ওগবেচে সেই বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে তা সাজিয়ে দেন ফন্ড্রের জন্য। এরপর ইংলিশ স্ট্রাইকারের হাফভলি ব্যবধান কমায় ম্যাচে। এরপর সমতা ফেরানোর সুযোগও এসেছিল মুম্বইয়ের কাছে। কিন্তু সংযুক্তি সময়ে ফ্রিকিক থেকে মেহতাব সিং’য়ের ক্লোজ-রেঞ্জ হেডার দুরন্ত ক্ষিপ্রতায় রক্ষা করেন শুভাশিস।
ফলে চলতি আইএসএলে দ্বিতীয়বার মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়তে হয় লোবেরার দলকে। যদিও ১৪ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল তারা। অন্যদিকে সমসংখ্যক ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এল নর্থ-ইস্ট। গোয়ার সঙ্গে পয়েন্টের নিরিখে সমমেরুতে থাকলেও গোলপার্থক্যে এগিয়ে গোয়া।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.