মস্কো: এবার রাশিয়ার তৈরি করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম চালান ইরানে এসে পৌঁছচ্ছে। রাশিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালি শনিবার তেমনটাই দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, করোনার টিকা কেনার পাশাপাশি যাতে যৌথভাবে এই দুই দেশ ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে সেজন্য তার আগের দিন রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। রাশিয়ার পুঁজি বিনিয়োগ বিষয়ক ফান্ড বা আরডিআইএফ’র প্রধান জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই টিকার প্রথম চালান ইরানে পৌছে যাবে।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রদূত আরও জানিয়েছেন, টিকা তৈরির ক্ষেত্রে ইরান এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। এই কারণে দুই দেশের মধ্যে এই সমঝোতা করা গিয়েছে যাতে পরবর্তী কালে রুশ টিকা ইরানেই যৌথভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে।
তবে রুশ টিকা নিরাপদ কিনা তা নিয়ে নাানামহলে প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, কয়েক মাস ধরে রুশ টিকা ‘স্পুতনিক-ভি’ দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষ এই টিকা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনও নেতিবাচক পার্শপ্রতিক্রিয়া কথা জানা যায়নি।তাছাড়া ইরান বিদেশ থেকে টিকা আমদানির প্রক্রিয়ার পাশাপাশি নিজেদের তৈরি টিকার মানব ট্রায়ালের কাজও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, ইরানের করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দলের প্রধান ড. হাসান জালিলি দাবি করেছেন , তাঁদের দেশে উৎপাদিত কভিরান বারাকাত ভ্যাকসিনটি ব্রিটিশ প্রজাতির করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কার্যকরী হচ্ছে। ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজকে শনিবার তিনি এমনটাই জানিয়েছেন। ড. জালিলি দাবি করেছেন, পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাদেরকে কভিরান ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তাদের ব্লাড প্লাজমা ব্রিটিশ প্রজাতির ওই করোনাভাইরাসকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে ইরানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৮২ জন মারা গিয়েছেন। তাছাড়া নতুন করে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৩১৭ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৬ জন। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিমা সাদাত লারি এমনটা জানিয়েছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.