দলবদলকারীরা লোভী, ভোগী
গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাস জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলে রাখার চেষ্টা হয়েছে বিস্তর। একাধিকবার বৈঠক করেছেন দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। ১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতাদের। লোভী ও ভোগী বলে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, সম্পত্তি বাঁচাতেই বিজেপিতে নাম লেখানো। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, বিজেপির কাছে তিনি মাথানত করবেন না। দলবদলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলবদলে ক্ষতি হবে না
শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে দলের কোর কমিটির বৈঠকে সেই একই কথাই উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। সাম্প্রতিক দলবদলকে আমল দিতে রাজি হননি তিনি। তিনি বলেছেন, যদিও কারও যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তো চলে যান। তাতে দলের কিছু হবে না। যেখানে রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলার সভায় তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতার যোগদানের সম্ভাবনা সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো দলের নেতা, কর্মীদের মনোবল বাড়ালেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
১৫ দিনের কর্মসূচি পালনের নির্দেশ
শুক্রবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতা-কর্মীদের ১৫ দিনের কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই কর্মসূচি হবে রাজ্যজুড়ে বিজেপির রথযাত্রার সময়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সাংসদ ও বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য জুড়ে প্রচারে নামতে হবে। সেই প্রচারে নিজের দলের অভিনেতা, অভিনেত্রীদের নামতে বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এই মুহুর্তে টলিউডের তিন অভিনেতা অভিনেত্রী দেব, নূসরত, মিমি দলের সাংসদ। এছাড়াও সোহম চক্রবর্তীর মতো অভিনেতা দলের পদাধিকারী। এছাড়াও টলিউডের অনেক কলাকুশলী তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। এঁদের সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে নামার নির্দেশ দিয়েছেন।
সংঘাত নয়, সতর্ক করলেন মমতা
তবে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে কোনও দলের সঙ্গে সংঘাত নয়, জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে কোনও রকমের প্ররোচনা তৈরি করা যাবে না, তাতে পাও দেওয়া যাবে না।