মেলবোর্ন: সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে তাঁর ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং’য়ের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশেষভাবে জনপ্রিয় অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিএল খেলার সুবাদে অন্যান্য অনেক ক্রিকেটারের মত ভারতের ক্রিকেট অনুরাগীদের কাছেও দারুণ জনপ্রিয় এই অজি বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। কিন্ত ওয়ার্নার কন্যা ইন্ডি’র প্রিয় ক্রিকেটার কিন্তু তাঁর বাবা নন, বরং ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিই প্রিয় ক্রিকেটার ওয়ার্নারের দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের। আর সম্প্রতি প্রিয় ক্রিকেটারের টেস্ট জার্সি গায়ে চাপিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেন ইন্ডি।
শনিবার কোহলির জার্সি গায়ে চাপিয়ে মেয়ে ইন্ডির তোলা একটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক। ডেভের ক্যাপশন দেখে পরিষ্কার অজিভূমে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলে দেশে ফেরার আগে ওয়ার্নার কন্যাকে নিজের টেস্ট জার্সিটি উপহার দিয়ে আসেন বিরাট। অজি ওপেনার ক্যাপশনে ভারত অধিনায়ককে তাঁর এই আচরণের জন্য ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেছেন।
ওয়ার্নার লিখেছেন, ‘আমরা সিরিজটা হেরেছি ঠিকই কিন্তু তাতে একটা মেয়ে এখানে খুব খুশি। বিরাট কোহলি তোমাকে ধন্যবাদ জার্সিটা উপহার দেওয়ার জন্য। ইন্ডির ভীষণ পছন্দ হয়েছে এটা। বাবা এবং অ্যারন ফিঞ্চের পাশাপাশি ও যে ভিকে’কেও দারুণ ভালোবাসে।’ যদিও অজিভূমে টানা দ্বিতীয়বার সিরিজ জিতে ফিরতে এক্ষেত্রে বিরাট কোহলিকে দরকার পড়েনি ভারতীয় দলের। কারণ অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট খেলে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন বিরাট। আর ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে নিজেদের সর্বনিম্ন ৩৬ রানের লজ্জার নজির গড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। আট উইকেটে অ্যাডিলেড টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় ব্যাগি গ্রিনরা।
কিন্তু মেলবোর্নে বক্সিং-ডে টেস্টে আজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে দারুণভাবে বাউন্সব্যাক করে ভারতীয় দল। পালটা ক্যাঙ্গারুবাহিনীকে আট উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত। এরপর সিডনি টেস্ট ড্র রেখে ব্রিসবেনে চতুর্থ টেস্টে তারুণ্যের জোরে উত্তেজক জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। ১৯৮৮ ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর প্রথম কোনও সফরকারী দল হিসেবে গাব্বায় অস্ট্রেলিয়াকে তিন উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় ভারতীয় দল।
একা বিরাট কোহলি নন, সিরিজ যত এগোতে থাকে চোটের কারণে ভারতীয় দল মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, হনুমা বিহারি, রবি অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, জসপ্রীত বুমরার সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তারপরেও রাহানের দলের এই জয় নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেটে গৌরবগাথা হয়ে রয়ে যাবে আজীবন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.