নয়াদিল্লি : হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বেশ ক্ষোভ ছিল সাধারণ মানুষের মনে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় সেই ছবিই উঠে এল। শুক্রবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৫ শতাংশ ভারতীয় নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছেন (5% Indians deleted whatsapp)।
লোকাল সার্কেল নামে এক সংস্থা এই সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে ২১ শতাংশ ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়েছেন। (Whatsapp deleted after the rumours) জনপ্রিয় হচ্ছে সিগনাল বা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ। ১৭ হাজার ভারতীয়ের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে ছিল এই সংস্থা। ভারতের ২৩২টি জেলা জুড়ে ২৩ থেকে ২৮শে জানুয়ারি অবধি সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষা বলছে ১৬ শতাংশ ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট না করলেও, অন্য মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করছেন (21% Indians uses whatsapp alternative)। ২২ শতাংশ ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে দিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপের পেমেন্ট অপশন ৯২ শতাংশ ভারতীয়ই ব্যবহার করছেন না বলে জানানো হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছিল ৮ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি না দিলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে গ্রাহকদের। বেশ ক্ষোভ তৈরি হয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে।
সবথেকে বড় প্রশ্ন ওঠে নিরাপত্তা নিয়ে। গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত হোয়াটসঅ্যাপের মত মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে, প্রশ্ন তোলেন গ্রাহকরা। অবস্থা এমন দাঁড়ায়, জানুয়ারির এক তারিখ থেকে পাঁচ তারিখের মধ্যে যেখানে এই অ্যাপ ডাউনলোড হয় ২ মিলিয়ন, সেখানে ছয় থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তা কমে দাঁড়ায় ১.৩ মিলিয়ন।
হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প সিগন্যাল অ্যাপ বা টেলিগ্রাম অ্যাপের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এরপর আসরে নামে হোয়াটসঅ্যাপ। ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ নিজে তার হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে বার্তা দেয় ইউজারদের। জানিয়ে দেয় যে তারা কোনও ব্যক্তিগত কথোপকথনে চোখ রাখতে পারবে না। গত সপ্তাহে নতুন টার্মস অফ সার্ভিস-এর বিষয়ে অবগত করে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যাপের মধ্যেই একটি নোটিফিকেশন দিয়ে সেকথা জানায়। আর তাতেই শুরু হয় বিতর্ক। বিতর্কের মুখে অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত পিছোতে বাধ্য হয় ওই সংস্থা।
Survey says whatsapp is replaced, Whatsapp replaced
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.