নয়াদিল্লি: গত তিন মাস হল পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ যেন একেবারেই হারিয়ে ফেলেছে ১২ বছরের সুজাতা৷ সম্প্রতি তার বাবা ছোট শহর থেকে বদলি হয়ে এসেছে মেট্রো সিটিতে৷ বাবার সঙ্গে সেও এসেছে বড় শহরে৷
নতুন বাড়ির পাশাপাশি সম্পূর্ণ ভিন্ন স্কুলের পরিবেশ, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে হচ্ছে তাকে৷ যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়ছে তার মনের উপর৷ সুজাতার মা তাকে বারবার প্রশ্ন করার পর সে জানায়, স্কুলে বেশ কিছু বন্ধু তাকে ক্রমাগত বিরক্ত করছে। যার জেরেই উদ্বেগ আর হতাশায় ডুবে যাচ্ছে সে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, ১০ থেকে ২০ শতাংশ কিশোর-কিশোরীই মানসিক সমস্যায় (mental health) ভোগে৷ এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে৷ জ্ঞানের অভাব, সামাজিক ইস্যু বা এই সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতন না হওয়ার কারণে হতে পারে৷ ফল স্বরূপ, উদ্বেগজনিত সমস্যা, হতাশা, আচরণগত অস্থিরতা হতে পারে৷ এর থেকে আত্মহত্যা করা বা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে৷

বয়ঃসন্ধিকালে সুস্থ মানসিক স্বাস্থ্যের (mental Illness) জন্য কী কী পদক্ষেপ করা উচিত-
•কৈশর বসয়ে থাকা সন্তানের প্রতি ভালোবাসা, স্নেহের পাশাপাশি তার প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে৷
•তাদের ধারণা ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিতে হবে৷
•একসঙ্গে গোটা পরিবারকে ভালো সময় কাটাতে হবে৷
•নিজেদের অনুভূতি সম্পর্কে কথা বলার জন্য তাদের উৎসাহিত করতে হবে৷ যাতে যে কোনও সমস্যা সম্মিলিতভাবে সমাধান করা যেতে পারেন৷
•সমস্যার মুখোমুখি হলে আলোচনা করুন৷
•প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে পরামর্শ করুন৷ কিংবা হেলথকেয়ার প্রফেশনালের সাহায্য নিন৷

ইউনিসেফ (Unicef says) বলছে, প্রতি বছর ৫ জনের মধ্যে ১ জন কিশোর মানসিক সমস্যায় ভোগে৷ মানসিক সমস্যা থেকে মনে ভীতির সঞ্চার হতে পারে৷ একাকীত্ব গ্রাস করতে পারে৷ আজ, চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে৷ কোনও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হলেই পেশাদার চিকিৎসকের সাহায্য নিন৷ যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে, তত শীঘ্র সুস্থ হয়ে উঠবে আপনার সন্তান৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।