জলপাইগুড়ি: উলেন রায় কান্ড, আগামী ৫ মার্চের মধ্যে সিআইডি-কে এই তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ। তার আগে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিআইডিকে৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

জলপাইগুড়ি‌ জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মিনঘোড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন উলেন রায়। গত ৭ ডিসেম্বর উত্তর‌কন‍্যা অভিযানের সময় মৃত্যু ঘটে তার৷ গণ্ডগোলের আশঙ্কা করে সেদিন রাতেই জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন উলেন রায়ের পরিবারের সদস্যরা।

৮ ডিসেম্বর সকালে পুলিশ উলেন রায়ের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিতে চাইলেও তা নিতে অস্বীকার করেন তারা। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় সমস্ত নিয়ম মেনেই উলেন রায়ের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। উলেন রায়ের দেহের দ্বিতীয়‌বার ময়নাতদন্তের দাবি করা হলেও শেষ পর্যন্ত সেই দাবি থেকে সরে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের আরও অভিযোগ ছিল, পুলিশের ছোঁড়া ছররায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। সেই দাবিও মানা হয়নি।

১০ ডিসেম্বর তদন্তভার নেয় সিআইডি। সেই তদন্ত কতটা এগোল তা জানতে চেয়েছে সার্কিট বেঞ্চ। এ প্রসঙ্গে এদিন সার্কিট বেঞ্চ জানিয়েছে, সিআইডির এডিজির নেতৃত্বে তৈরি হচ্ছে কমিটি। সেই কমিটিতে মেডিক্যাল পার্সনকেও রাখা হচ্ছে। যিনি উলেন রায়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন। কারণ মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রথম থেকেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। দু’বার ময়নাতদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছিল।

অন্যদিকে উলেন রায়ের মৃত্যুর পর বিজেপিকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন,‘মিছিলের নামে লোক এনে নিজেরাই মারে বিজেপি’৷ উত্তরকন্যা অভিযানে গিয়ে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার দায় গেরুয়া-শিবিরের উপরেই চাপান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়। অভিযোগ,আচমকা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন যুব মোর্চার কর্মীরা।

শুরু হয় পুলিশ-বিজেপি কর্মী ধস্তাধস্তি৷ তাছাড়া মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ করেছে বলেও অভিযোগ। পাল্টা অভিযোগ পুলিশেরও। তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বিজেপি কর্মীরা, এমনই দাবি পুলিশের।

অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে মাথায় চোট পান উলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।