পানাজি: খবরটা পাকাপাকি হয়ে গিয়েছিল দিনদু’য়েক আগেই। আর শুক্রবার অফিসিয়ালি ঘোষণা হতে সিলমোহর পড়ল গোটা ঘটনায়। জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোয় ওডিশা এফসি থেকে সোয়াপ ডিলে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলিনহো পেরেরাকে দলে নিল এটিকে-মোহনবাগান। পরিবর্তে স্কটল্যান্ডজাত অজি স্ট্রাইকার ব্র্যাড ইনমানকে ওডিশার জন্য ছেড়ে দিল কলকাতার ক্লাবটি।
২০১৭-১৮ আইএসএল অভিষেক মরশুমে দিল্লি ডায়নামোসে যোগদান করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন মার্সেলিনহো। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগিয়েই শুরু করা পেলের দেশের এই ফুটবলার গত মরশুমে হায়দরাবাদের জার্সিতেও আপফ্রন্টে দুরন্ত ফুটবল খেলেছিলেন। অথচ চলতি আইএসএলে প্রথম পর্বটা ওডিশা এফসি’র জার্সি গায়ে বড্ড ফ্যাকাসে এই ব্রাজিলিয়ান। তবুও হাবাসের জহুরির চোখ চিনে নিয়েছে ভারতীয় ফুটবলে বেশ কয়েক মরশুম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা মার্সেলিনহোকে। আগামী কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচ থেকেই মার্সেলিনহোর অভিজ্ঞতা হাবাস কাজে লাগাতে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে। আর মরশুমের মাঝপথে সবুজ-মেরুন শিবিরে যোগদান করতে পেরে খুশি মার্সেলিনহোও।
এটিকে মোহনবাগান শিবিরে যোগদানের কারণও জানালেন সাম্বার দেশের ফুটবলার। এটিকে-মোহনবাগানের মিডিয়া টিমকে মার্সেলিনহো বলেন, ‘এটিকে-মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও হাবাসের সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘদিনের। তাঁর ফুটবল দর্শন আমার ভীষণই পছন্দের। ভারতের এই ক্লাবের সমর্থক সবচেয়ে বেশি। খুব তাড়াতাড়ি আমি দলের সঙ্গে মানিয়ে নেব বলে মনে হয়। কারণ এটিকে-মোহনবাগানের খেলা আমি নিয়মিত দেখেছি। স্বাভাবিকভাবেই কোচের স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে আমি অবগত। কেরালা ম্যাচে সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করব।’
তবে আগামী রবিবার প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্সকে নিয়ে সমীহের সুর এটিকে-মোহনবাগানের নয়া ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের গলায়। উল্লেখ্য, কেরালাকে হারিয়েই চলতি আইএসএলে অভিযান শুরু করেছিল এটিকে-মোহনবাগান। মার্সেলিনহো জানিয়েছেন, ‘ওরাও যথেষ্ট শক্তিশালী দল। রবিবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই মনে হয়। তবে এটিকে-মোহনবাগানের রিজার্ভ বেঞ্চ যথেষ্ট শক্তিশালী। আমাদের দল চলতি মরশুমেও চ্যাম্পিয়নের দাবিদার।’
এদিকে ওডিশা এফসি’র হয়ে অনুশীলন শুরু করে দিলেন ব্র্যাড ইনমানও। স্টুয়ার্ট বাক্সটারের প্রশিক্ষণাধীন দলে যোগ দিয়ে ইনমান জানিয়েছেন, ‘আমি এখানে এসে অবদান রাখার ব্যাপারে প্রত্যয়ী ছিলাম। আশা রাখছি মরশুমের শেষে গিয়ে দলের কয়েকটা জয়ে ছাপ ফেলতে পারব। দলের ম্যানেজারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আমার বারদু’য়েক কথা হয়েছে। আমি জানি উনি কী চান আমার থেকে। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.