সিডনি: ইতিহাস গড়তে চলেছে তনবীর সাঙ্ঘা৷ দ্বিতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন তিনি৷ মাত্র ১৯ বছর বয়সে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ দলে জায়গা করে নিলেন নতুন ‘ওয়ার্ন’৷
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন তনবীর৷ তারপর বিগ ব্যাশ লিগে আবির্ভাবে সকলকে চমকে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে জায়গা করে নেন সিডনিতে ভারতীয় ট্যাক্সি ড্রাইভারের ছেলে৷ সিডনি থান্ডারের হয়ে বিগ ব্যাশে ১৪টি ম্যাচে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১টি উইকেট নিয়ে অজি নির্বাচকদের মন জয় করেন নেন তনবীর৷ কিউয়িদের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া৷ ১৮ জনের অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা করে নেন ভারতীয় কৃষক পরিবারের ছেলেটি৷
১৯৯৭ সালে তনবীরের বাবা জোগা সিং সাঙ্ঘা জলন্ধর থেকে সিডনি পাড়ি দেন। সিডনিতে ট্যাক্সি চালান জোগা৷ তবে তনবীরের মা একজন অ্যাকাউন্টটেন্ট৷ একটি বেসরকারি সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজ করেন তিনি৷ জলন্ধর থেকে ২০ কিমি দূরে রহিমপুর গ্রামে থাকতেন তনবীরের বাবা৷ সেখান থেকে ২৪ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন তিনি৷
এক সাক্ষাৎকারে জোগা বলেন, ‘আমি ভারতে কখনও ক্রিকেট খেলা দেখিনি৷ আমি কাবাডি, ভলিবল ও কুস্তি খেলতাম৷ অস্ট্রেলিয়াতেও শীতে কুস্তি টুর্নামেন্ট হয়৷ তনবীরও আমার সঙ্গে জুনিয়র স্তরে কুস্তি খেলতে যেতে৷ কিন্তু ওর যখন ১০ বছর বয়স, তখন আরএসএল ক্লাবে ক্রিকেটের জন্য ভর্তি করি৷ আমি ওকে দিয়ে এবং নিয়ে আসতাম৷’
তবে শেন ওয়ার্নের অন্ধ ভক্ত তনবীরের ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছেন অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ ইয়ান থর্প। ২০১২ সালে তনবীরকে একটি ক্লাব ম্যাচে দেখার পর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার ফওয়াদ আহমেদের কাছে নিয়ে যান থর্প। তারপর অনূর্ধ্ব-১৬ স্তর থেকে ‘মেন্টর’ ফওয়াদের হাত ধরে তনবীরের এগিয়ে যাওয়া।
তনবীর হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার, যিনি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন৷ এর আগে প্রথম ভারতীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন গুরিন্দর সাঁন্ধু৷ ১৯১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মেলবোর্নে ওয়ান ডে ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল তাঁর৷ এবার তনবীরের মাথায় ‘ব্যাগি গ্রিন’ মাথায় ওঠার অপেক্ষায়৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.