স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: একুশে বাংলায় হ্যাটট্রিক করতে মরিয়া তৃণমূল। ভোটযুদ্ধে বিজেপি-কে রুখতে রণকৌশল তৈরিতে জরুরি বৈঠকে বসলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে তৃণমূলনেত্রীর বাসভবনে চলছে এই বৈঠক৷ এই বৈঠকে কোর কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি হাজির থাকবেন সশরীরে ও ভার্চুয়ালি বেশ কিছু বিধায়ক, সাংসদ ও সাংগঠনিক পদাধিকারীরা। ৩০ জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সেই সফরের ঠিক আগের দিন মমতার এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সূত্রের খবর, প্রতিটি কেন্দ্র ধরে ধরে ভোটের আগে পর্যালোচনা করা হবে। এর পাশাপাশি বিক্ষুদ্ধদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিতে পারেন নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এছাড়াও ওই বৈঠক থেকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইতিমধ্যেই বেসুরো’দের উদ্দেশ্য করে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি। সেখানে জানিয়েছেন, “যারা ছেড়ে যাবার তারা যেতে পারে। ট্রেন ছেড়ে দেবে তাই তাড়াতাড়ি চলে যাক। যারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে তাদেরকে আর ফেরানো হবে না।” পুরশুড়ার সভায় হার্ড টাস্ক মাস্টার দলনেত্রী বলেছেন, ‘কেউ ভুল করলে দল তাঁকে শাস্তি দেবে। এই দল শৃঙ্খলাবদ্ধ দল।’ সাংসদ–বিধায়কদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে, কোনও রকম দলবিরোধী কথা বার্তা বরদাস্ত করা হবে না।
অমিত শাহ রাজ্যে এসেছিলেন, তখন শুভেন্দু অধিকারী–সহ তৃণমূলের একঝাঁক নেতা বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ৩০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। শাসক শিবির থেকে অন্তত জনা দশেক নেতা গেরুয়া শিবিরে পা বাড়িয়ে আছেন। এঁদের মধ্যে কয়েকজন বিধায়ক এবং সাংসদও নাকি রয়েছেন। তাই অমিত শাহের সফর ঘিরে রাজ্য–রাজনীতিতে পারদ চড়ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের আগে দলের সাংসদ–বিধায়কদের মনোভাব বুঝে নিতেই এই বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূলনেত্রী।
নতুন বছরের শুরুতেই তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, প্রবীর ঘোষালরা। বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজীব৷ দলবিরোধী কাজের জন্য অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে বালির বিধায়ক বৈশালীকে। একই অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে। মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের সঙ্গে দুরত্ব বাড়িয়েছেন লক্ষীরতন শুক্লা৷ এবারের শাহী সফরে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
এই অবস্থায় দল চাইছে সকলকে একজোট করে বিধানসভা ভোটে লড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই খোদ দলনেত্রী আজ দলের পদাধিকারী, সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন। সূত্রের খবর, একদিকে সেখানে দলের অবস্থান তিনি স্পষ্ট করবেন। অন্যদিকে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারেও তিনি আদেশ দেবেন। ইতিমধ্যেই দলের কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে দলের ইস্তাহার তৈরি নিয়ে কথা হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.