মুম্বই: কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পূর্ব ঘোষিত আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেন বর্ষীয়ান সমাজকর্মী আন্না হাজারে। দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিতে শনিবার থেকেই আমরণ অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছিলেন ৮৩ বছর বয়সী আন্না হাজারে।
শনিবার থেকে মহারাষ্ট্রে নিজের গ্রামেই অনশনে বসার কথা জানিয়েছিলেন আন্না। তবে শুক্রবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে কথা বলেন আন্না হাজারে। তারপরই আপাতত অনশন কর্মসূচি তুলে নেওয়ার কথা জানান গান্ধিবাদী এই সমাজকর্মী।
দীর্ঘদিন পর ফের রাস্তায় নেমে আন্দালনের কথা জানিয়েছিলেন আন্না হাজারে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘কৃষকদের প্রতি কোনও সহনশীলতা দেখাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র ভুল পথে ধরেছে।’’ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই শনিবার থেকে আমরণ অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আন্না হাজারে। তবে শুক্রবারই বর্ষীয়ান এই সমাজকর্মীর সঙ্গে দেখা করেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। জানা গিয়েছে, আপাপত আন্নাকে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের আবেদন জানান ফড়নবীশ।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্না হাজারে অনশনে বসবেন শুনেই তৎপরতা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কোনওভাবে আন্নাকে অনশনে বসা থেকে বিরত করতে তৎপর হন মোদী-শাহরা। সেই মতো কেন্দ্রের এক মন্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পাঠানো হয়েছিল।
আন্না হাজারের ঠিক কী দাবি, তা সেই মন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, আন্না হাজারের কিছু দাবিকে মান্যতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সেই দাবিগুলি ঠিক কী কী? তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের অনশনে বসার কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানান আন্না হাজারে।
ইতিমধ্যেই নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে একাধিক চিঠি দিয়েছেন আন্না হাজারে। কৃষকদের দাবি মেনে সমাধানের পথ খুঁজতেও বার্তা দিয়েছেন আন্না। এদিন আন্না হাজারে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পঞ্চাশ শতাংশ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জট কাটাতে চেষ্টা করছে। এটা আমেকে চিঠিতে জানানো হয়েছে। আগামিকালের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.