কৃষক বিক্ষোভ ঠেকাতে বন্ধ হয় ইন্টারনেট, কিন্তু উস্কানিমূলক খবরে নেই রাশ! সুপ্রিম তোপের মুখে কেন্দ্র

দিন যত গড়াচ্ছে দিল্লিতে ততই বাড়ছে কৃষক আন্দোলনের তেজ। এদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছলকে কেন্দ্র করে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানৌতর। তারমাঝেই কৃষক আন্দোলনের মাঝে ইন্টারনেট বন্ধের জেরে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ল কেন্দ্র সরকার। এমবকী প্ররোচণামূলক টেলিভিশন প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে কেন্দ্রকে তিরষ্কার করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।

তবলিঘি জামাত নিয়েও কটাক্ষ

এদিকে ২০১৯ সালে দিল্লিতে করোনা মহামারীর শুরুতে দিল্লিতে নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাত আয়োজিত সমাবেশ নিয়ে পরিবেশিত সংবাদ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। একাধিক চ্যানেলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট খবর পরিবেশনের অভিযোগ ওঠে। এমনকী মুসলিম সম্প্রদায়ের দিকেও ইচ্ছাকৃত ভাবে একাধিক আঙুল তোলা হয় বলে খবর। যাতে রীতিমতো সাম্প্রদায়িক উষ্কানি ছিল বলেও মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।

সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকেও তীব্র ভাষায় কটাক্ষ

এই ধরণের খবরে নিয়ন্ত্রণ না আনতে পারার কারণেই এদিন সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ে সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশ-বিদেশ থেকে আসা বহু জামাত সদস্য গত বছর মার্চে দিল্লিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বলে জানা যায়। ইরান ও কাজাখস্তানের মতো করোনা আক্রান্ত দেশ থেকেও আসেন বহু মানুষ। এরপরেই দেশে করোনা সংক্রমণের মূল কারণ হিসাবে তবলিঘি জামাতকেই কাঠগড়ায় তোলে এক শ্রেণির মিডিয়া।

সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকেও তীব্র ভাষায় কটাক্ষ

এই মামলার শুনানিতেই এদিন দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকেও তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন। সুপ্রিম কোর্টের সাফ জবাব, কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে যার মধ্যে প্ররোচণার ইঙ্গিত থাকে,যা খালি চোখেই দেখা যায়। কিন্তু সেগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ দেখতে না নেওয়াতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।

তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের

এদিকে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির কিছু অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার প্রসঙ্গ তুলে দায়রা আদালতের বক্তব্য, সত্য এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনে কোনও সমস্যা নেই। এদিকে কেন্দ্রের আনা তিনটি নয়া এদিকে কৃষিবিলের বিরোধীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই ট্র্যাক্টর ব়্যালি বার করেছিল প্রতিবাদী কৃষকরা। যার খবর সম্প্রচার করা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তা বাধা প্রাপ্ত হয়।

লালকেল্লা কাণ্ডের ভুয়ো খবর প্রচার

এদিকে দিল্লির শান্তিপূর্ণ ট্রাক্টর কয়েক মিনিটের মধ্যেই হিংসাত্মক বিক্ষোভের আকার নেয়। ট্র্যাক্টর উলটে মৃত্যু হয় এক কৃষকের। তবে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। যা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। এমনকী তিব্র সমালোচনাও করতে দেখা যায় ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মমণ্যম।

রাজীবের আরও এক তৃণমূলের সতীর্থ অমিতের সভায় থাকছেন! মুখ খুললেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী

More SUPREME COURT News