গাজিয়াবাদ: দিন কয়েক আগে বেনামে একটি ফোন এসেছিল তাঁর কাছে৷ গোপন মুহূর্তের কিছু ছবি আর পরিবারের তথ্য ফাঁস করার হুমকি দিয়ে তাঁর কাছে ১০ কোটি টাকা চায় ব্ল্যাকমেলার৷ হুমকি ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি পুলিশের কাছে ছোটেন ওই ব্যক্তি৷ আর ঘটনার তদন্তে নেমেই বেরয় কেচোঁ খুড়তে কেউটে৷ জানা যায় ওই ব্ল্যাকমেলার আর কেউ নয়, ওই ব্যাক্তিরই ১১ বছরের ছেলে!

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের৷ জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর কিছু গোপন ছবি ই-মেলে গচ্ছিত রেখেছিলেন৷ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই ই-মেল যে ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) অ্যাড্রেস থেকে পাঠানো হয়েছিল সেটি ওই ব্যক্তিরই বাড়ির৷ বাবার গোপন ছবি কোনও ভাবে হাতে এসেছিল ১১ বছরের ওই ছেলের৷ আর এই গোপন ছবি হাতে পেয়ে একেবার বাবাকেই ব্ল্যাকমেল করার ফন্দি এঁটে ফেলে সে৷ এর পর বেনামে ফোন করে ২-৫ লাখ নয়, একেবারে ১০ কোটি টাকা হাঁকে ওই খুদে৷

এদিকে ব্ল্যাকমেলারের ফোন পেয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন গাজিয়াবাদের ওই ব্যক্তি৷ জানান, একদল হ্যাকার তাঁর ইমেল হ্যাক করে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছে৷ তাদের দাবি পূরণ করা না হলে এই সকল ছবি ফাঁস করার হুমকিও দিয়েছে৷ তিনি জানান ১ জানুয়ারি কোনও সাইবার ক্রিমিনাল তাঁর আইডি হ্যাক করেছে৷ এবং তাঁর পাসওয়ার্ড ও মোবাইল নম্বর বদলে দিয়েছে৷

তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, আইপি অ্যাড্রেস অভিযোগকারীর বাড়িরই৷ তাছাড়া তাঁর ছেলের হাবভাব দেখেও খটকা লাগে পুলিশের৷ তার পরই তাকে জেরা করে পুলিশ৷ তদন্তের মুখে আর বেশিক্ষণ নিজেকে আড়াল করে রাখতে পারেনি পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্র৷ তার সব কেরামতি ফুরিয়ে যায়৷ গোটা ঘটনাটাই স্বীকার করে নেয় সে৷ এমনকী জানায়, ইউটিউব দেখেই সে হ্যাকিং শিখেছে৷

তার কথায়, সাইবার ক্রাইম নিয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে। ওই ভিডিও দেখেই সে হ্যাক করা শিখেছে৷ এর পর বাবার ইমেল হ্যাক করে বাবাকেই ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করে৷ গাজিয়াবাদ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

10-crore extortion, Ghaziabad extortion Case, money extortion, examples of extortion,
cybercrime cell

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।