কলকাতা: কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার জন্যই করোনাকালে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায়। অধিবেশনের শুরুতেই তুমুল হট্টগোল বিধানভায়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অপমান’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায়।
এই প্রস্তাব আনতে গিয়ে বাম ও কংগ্রেসকে বিঁধে তাপস রায়ের করা একটি মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল দশা হয় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
গত ২৩ জানুয়ারি ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন। কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান শুনে অপমানিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরকারি অনুষ্ঠানকে রাজনীতিকরণের অভিযোগ তুলে ভাষণ দেননি তিনি। ক্ষোভের কথা অনুষ্ঠান-মঞ্চ থেকেই সেদিন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে তুমুল জলঘোলা হয়েছে। বিজেপি বিরোধী প্রায় সব দলই সরকারি মঞ্চে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান তোলার বিরোধিতা করেছে। তৃণমূলের তরফেও টুইটে ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে।
সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে এদিন বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায়। তবে সেই প্রস্তাব আনতে গিয়ে তাঁর একটি মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর তুমুল বচসা শুরু হয়। তাপস রায়ের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন কংগ্রেস বিধায়করাও। এরপরেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম ও কংগ্রেসের বিধায়করা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল দশা হয় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.